উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন
ইউএস- ম্যাক্সিকো সীমান্ত বন্ধ রয়েছে: মেয়রকাস
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ইউএস-ম্যাক্সিকো বর্ডারে অভিবাসী ঢল নেমে এসেছে, ফলে সৃষ্টি হয়েছে সংকট। আর এই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলা হচ্ছে, বাইডেনের অভিবাসী নীতি শিথিলতার কারণেই এই অমানবিক পরিস্থিতি ও বাড়তি চাপের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ডেমোক্রেটিকরা বরাবর দাবি করে আসছে, বাইডেনের অভিবাসন নীতি মানবিক সিদ্ধান্ত। দক্ষিণ সীমান্তে যেই সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য দায়ী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরই প্রেক্ষিতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেয়রকাস বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া অভিবাসী নীতিকে সঠিক বলে দাবি করেছেন। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়রকাস জানান, অভিবাসী সংকট মোকাবেলা করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে মেয়রকাস বলেন, ‘দক্ষিণ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা অভিবাসীপ্রত্যাশী পরিবারদের ফেরত পাঠাচ্ছি। পাশাপাশি একা আসা পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদেরও ফেরত পাঠানো হচ্ছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘যেসব শিশুরা অভিভাবকহীন, তাদের নিয়ে কিছুটা সংকট রয়েছে। আমরা এসব শিশুদের সীমান্তে আসাকে অনুৎসাহিত করছি।
কিছুদিন আগে বাইডেন বলেছিলেন, দক্ষিণের সীমান্তে চলমান সংকটের জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসন প্রক্রিয়া জটিল রুপ ধারণ করেছে।
মেয়রকাস রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের এখন সীমান্তে আসা উচিত নয় জানিয়ে বলেন,তাদের এখন সীমান্তে আসা উচিত হবে না। তবে অনেক ডেমোক্রেটিকরা বলছেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা উচিত নয়। তারা যেখানে আছেন, সেখান থেকেই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ‘রিমেইন ইন ম্যাক্সিকো’ নীতি চালু করেছিলেন। এই নীতির কারণে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদয়ের ম্যাক্সিকোর একটি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে থাকতে হতো।
তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই নীতি পরিবর্তন করায় এখন সীমান্তে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রিপাবলিকানরা এই সুবিধা নিয়ে বলছেন, ট্রাম্পের রিমেইন ইন ম্যাক্সিকো নীতি পরিবর্তন করা ঠিক হয়নি।
কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রোটেকশন এর তথ্য মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছিলো ৩১ শতাংশ। আর এই বছর একই সময়ে দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার অভিবাসীকে আটক করেছিলো কাস্টমস এন্ড বর্ডার প্রোটেকশন। তবে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি অভিবাসী আটক হয়েছে।
এসব অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে অভিভাবকহীন শিশুদের সংখ্যা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে সংখ্যাটি বেড়েছিলো ৩১ শতাংশ। অপরদিকে, এই বছরের চলতি মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়েছে ৬১ শতাংশ।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন