ফ্লোরিডায় ভবন ধস: ৯টি মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ১৫০
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ফ্লোরিডার মিয়ামি-ডেড কাউন্টির ১২ তলা ভবন ধসের ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ধংসস্তুপের ভিতর থেকে ৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ১৫০ জন।
এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
মিয়ামির নর্থে অবস্থিত সার্ফসাইডের আবাসিক এই ভবনটির ধসের কারণ এখনো পরিষ্কার নয়।
তবে ২০১৮ সালে প্রকাশিত এক ইঞ্জিনিয়ারিং তথ্যে দেখা যায়, ভবনের পরিকল্পনায় বড় রকমের ভুল ছিল। ভবনের মূল কাঠামোর পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়া ত্রুটিযুক্ত ছিল।
রবিবার (২৭ জুন) কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা এখনো জীবিত কারো সন্ধানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুরু থেকে উদ্ধারকর্মীরা ধংসস্তুপে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াচ্ছেন৷ স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের সাথে ইজরায়েল ও ম্যাক্সিকোর উদ্ধারকর্মীরাও যোগ দিয়েছেন।
মিয়ামি-ডেড কাউন্টির ফায়ার ডিপার্টমেন্ট চিফ অ্যালান কমনস্কি বলেন, 'এখনো পরিস্থিতি খুব জটিল। তবে আমরা হাল ছাড়ছি না'।
এখন পর্যন্ত মৃত চারজনের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৮৪, দুইজনের বয়স ৫৪ ও অন্য আরেকজনের বয়স ৭৯।
এছাড়া উদ্ধার হওয়া বাকি মৃতদেহগুলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা রোবট, ড্রোন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ কুকুরের সাহায্যে এই উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে উদ্ধার অভিযানের সময় হুট করেই আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় কাজ কিছুটা ব্যহত হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এখনো নিখোঁজ বাসিন্দাদের অধিকাংশ ইজরায়েল ও ল্যাটিন আমেরিকান। আর প্যারাগুয়ের ফার্স্ট লেডির আত্মীয়সহ আরো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অপেক্ষারত স্বজনদের খাবার এবং হোটেল কক্ষের ব্যবস্থা করেছে।
রাত ১টা ৩০ মিনিটে নর্থ মিয়ামির সার্ফসাইড এলাকার এই ভবনটির পিছনের অংশ ধসে পরে৷ ভবনটি ৪০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন