গর্ভপাত আইনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের দেওয়ানি মামলা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
টেক্সাসের বিতর্কিত গর্ভপাত নিষিদ্ধ নীতির বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছে দ্য ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস (ডিওজি)।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেন, 'এই আইনটি সম্পূর্ণরূপে সংবিধান বিরুদ্ধ'।
সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে টেক্সাসে বিতর্কিত এই গর্ভপাত আইন কার্যকর হয়েছে। এই আইনের ফলে ফিটাসে হার্টবিট শনাক্ত হলে পরে আর গর্ভপাত ঘটানো যাবে না। ধর্ষণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও কোনো ব্যতিক্রম রাখা হয়নি।
মঙ্গলবার গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট এই বিলটি স্বাক্ষর করেন। এই সময় তাকে ধর্ষণ ও অন্যান্য বিষয়ে ব্যতিক্রম না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
তখন অ্যাবট বলেন, 'পরিষ্কার করে বলতে চাই, ধর্ষণ একটি অপরাধ। আর টেক্সাসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এদের গ্রেফতার করা, শাস্তির আওতায় আনা ও জেলে পুরে রাখা। টেক্সাসের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে ধর্ষণ দূর করা। ফলে কোনো নারী ও কোনো ব্যক্তি যেনো ধর্ষণের শিকার না হয়'।
টেক্সাস আইনের মাধ্যমে কোনো প্রাইভেট সিটিজেন অন্য কাউকে গর্ভপাত ঘটানোর সাথে যুক্ত থাকার দায়ে বা পরিকল্পনার দায়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।
আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসক ও নারী সংগঠনগুলো আইনটি বাতিলের জন্য তীব্র প্রতিবাদ এবং আন্দোলন শুরু করে।
গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ পর থেকেই টেক্সাসে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন এই আইনকে বলা হচ্ছে এসবি-এইট। গত সপ্তাহে এটি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসক এবং নারী অধিকার গ্রুপগুলো এটির সমালোচনা করে আসছে।
মে মাসে টেক্সাস গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট 'হার্টবিট অ্যাক্ট' নামে এই আইনটি স্বাক্ষর করেন।
এই আইনটি রাজ্যের অন্যতম কঠিন আইনগুলোর মধ্যে একটি। ফোয়েটাল হার্টবিট শনাক্ত হওয়ার পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই আইনের ফলে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এটিকে 'মিসলিডিং' বলেও থাকে।
গভর্নর অ্যাবট এই আইনের স্বপক্ষে বলেন, 'আমরা সবসময় জীবন রক্ষার পক্ষে'।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন