দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে সহিংস অপরাধ ও হত্যা: এফবিআই
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ইউএস ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তথ্য (এফবিআই) অনুযায়ী, গত চার বছরের মধ্যে প্রথমবার সহিংস অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ২০২০ সালের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে এফবিআই।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ২১ হাজার ৫০০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে যা গত বছরের থেকে ৩০ গুণ বেশি। এফবিআই গত ৬০ বছর ধরে অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে।
জাস্টস ফর মার্ডারড চিল্ড্রেনের প্রতিষ্ঠাতা লাওয়ান্ডা হোকিন্স বলেন, 'এটি ভয়াবহ'। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত খুন সংক্রান্ত অপরাধ কমাতে সচেতনতা সৃষ্টি করে থাকে এবং যারা প্রিয় মানুষ হারিয়েছে সেইসব পরিবারকে সাহায্য করে।
হোকিন্স বলেন, 'এটি ভয়াবহ কারণ অধিক খুনের সংখ্যার মানে হচ্ছে অধিক সংখ্যক ভুক্তভোগী। যদি অপরাধ বাড়ে তো সেটির পাশাপাশি ভুক্তভোগীর সংখ্যাও বাড়ে'।
এফবিআই এর তথ্যানুসারে, রাষ্ট্রীয়ভাবে খুনের সংখ্যা যতোটুকু বেড়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া সেই সংখ্যা আরো অধিক বেড়েছে। এটি একই সাথে ছোট-বড় শহরকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
দেশের অন্যান্য অংশের থেকে প্রতি লাখে অপরাধের হার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে বেশি।
শেরিফ অ্যালেক্স ভিয়ানুয়েভা বলেন, 'লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে এই বিষয়টি আরো গুরুতর হয়ে উঠেছে'।
ভিয়ানুয়েভা বলেন, গত বছরের তুলনায় খুনের সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, গত বছর খুনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩৭ শতাংশ। এটি এখন উল্টোপথে যাচ্ছে।
২০১৪ সাল থেকেই সহিংস অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে লস এঞ্জেলেসে। শেরিফ জানান, এটির জন্য অনেকাংশে দায়ী প্রস্তাবনা ৪৭। এই আইনের ফলে ছোট ধরণের অপরাধের কারণে অপরাধী সাব্যস্ত না করে মন্দ আচরণ সাব্যস্ত করা হয়।
হোকিন্স জামান, সাউথ লস এঞ্জেলেসে খুনের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'এটির সমাধান কীভাবে করা সম্ভব? এটির একক কোনো সমাধান নেই। অনেক বেশি মানুষ এসবে জড়িয়ে পরছে'৷
ভিয়ানুয়েভা বলেন, 'অপরাধের মূল শিকার হচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ান ব্রাউন কমিউনিটি। তারা ২৪ ঘণ্টা সুরক্ষিত থাকতে পারে না এবং তারাই এসবের শিকার বেশি হচ্ছে'।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন