আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অর্থ তুলছেন ট্রাম্প
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঘটনা ঘটেছিল। তবে অভিযোগের বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এ ঘটনার জন্য তাকে আত্মসমর্পণ করতেও বলা হয়েছে। তবে, এই পরিস্থিতিতে আইনি ঝামেলা মোকাবিলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পথ বেছে নিয়েছে ট্রাম্পের প্রচারণা দল। ফেসবুকে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপন। ফেসবুকে দেওয়া বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এ অর্থের বিনিময়ে ট্রাম্প সমর্থকেরা একটি টি–শার্ট পাবেন। তাতে লেখা থাকবে, ‘আই স্ট্যান্ড উইথ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প’। এর মধ্য দিয়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ‘চলমান অন্ধকার সময়ে আন্দোলনকে রক্ষা করতে সাহায্য করার’ আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান ট্রাম্প। এ জন্য অনলাইন ও অফলাইনে প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি। তার এই প্রচারণা দলের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার ফেসবুকে তিনটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এসব বিজ্ঞাপনে ট্রাম্পের তহবিলে সমর্থকদের রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ন্যূনতম ৪৭ ডলার করে দিতে বলা হয়।
প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ ফেসবুক অনুসারী রয়েছে ট্রাম্পের। যদিও তিনি টানা দুই বছর এই সামাজিক মাধ্যমে নিষিদ্ধ ছিলেন।অভিযোগ উঠেছিল, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ওই হামলা চালাতে নিজের সমর্থকদের উসকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
সপ্তাহ দুয়েক আগে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেসবুকে ফিরেছেন ট্রাম্প। আগামী নির্বাচনের আগে প্রচারণার কাজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারও শুরু করেছেন তিনি। এর মধ্যেই বড় ধরনের আইনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় নিউইয়র্ক সিটির গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত জানায়। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। আগামী মঙ্গলবার বিকেলে শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে যাওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। এ সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে তাকে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন। গ্রেপ্তারের ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার হলে তার সঙ্গে অন্য আসামিদের মতো করেই আচরণ করা হবে কি না, ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারবেন কি না, এসব নিয়ে আলোচনা চলছে।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন