আপডেট :

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ন্যাটোর কী হবে, শঙ্কায় ইউরোপীয়রা

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ন্যাটোর কী হবে, শঙ্কায় ইউরোপীয়রা

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্র যেসব সামরিক জোটে রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ন্যাটো। ৭৪ বছর আগে গড়ে ওঠা এই জোটের সদস্য আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পারের দেশগুলো। জোটে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তবে এই ন্যাটো নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ নাখোশ।

২০০০ সালে ট্রাম্পের একটি বই প্রকাশ পায়। ‘দ্য আমেরিকা উই ডিজার্ভ’ নামে ওই বইয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইউরোপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলে প্রতিবছর এই দেশের (যুক্তরাষ্ট্রের) লাখ লাখ ডলার বেঁচে যাবে।’ এমনকি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে প্রত্যাহারের হুমকিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে আবার লড়তে পারেন ট্রাম্প। এর আগে ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা একটি ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘ন্যাটোর উদ্দেশ্য ও অভিযানগুলো গোড়া থেকে যে পুনর্মূল্যায়ন কাজ আমার প্রশাসনের আমলে হাতে নিয়েছিলাম, তা শেষ করতে হবে।’

ওয়েবসাইটে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তিনি বা তাঁর দলের লোকজনও এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে বক্তব্যটি ঘিরে ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে ব্যাপক অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে।

ইউরোপে শান্তি বজায় রাখতে এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুরক্ষিত থাকতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ন্যাটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) গড়ে তোলা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্যটি ‘পঞ্চম অনুচ্ছেদ’ নামে পরিচিত। তাতে বলা হয়েছে, ন্যাটোর কোনো সদস্যের ওপর সামরিক হামলা হলে সেটাকে পুরো জোটের ওপর হামলা হিসেবে দেখা হবে। ওই উদ্দেশ্য সামনে রেখে এখনো কাজ করে যাচ্ছে ন্যাটো।

ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্প কী চান, তা জানতে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের কাছে যোগাযোগ করছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। এ নিয়ে জানাশোনা আছে, এমন দুজন জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনে নিয়োজিত ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিক্কো হাউতালা সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন। ন্যাটোর নতুন সদস্য হিসেবে তাঁর দেশ কতটা মূল্য রাখে, তা বোঝাতে চেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেমস জি স্টাভ্রিডিস বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলো বড় যে ভয় পাচ্ছে, তা হলো দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে সত্যিকার অর্থে ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করা হবে। আর তা হবে ওয়াশিংটনের দিক দিয়ে বিশাল এক কৌশলগত ও ঐতিহাসিক ব্যর্থতা।

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত