আপডেট :

        সিলেটে পাথরের সঙ্গে শাহ আরেফিন টিলাও লুট হয়ে গেল

        ডাকসুর আজীবন সদস্যের প্রস্তাবে হাসিনা মানতে পারেননি ‘ভেটো’, প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হামলা

        চীনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে স্বস্তিতে ভারত

        যুক্তরাষ্ট্রে শিপিং জালিয়াতি মামলায় ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

        আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী বেড়ে রেকর্ড গড়ল অন্টারিও বিমানবন্দর

        ক্যালিফোর্নিয়ায় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু

        মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৬,০০০ শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করেছে

        বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু

        সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিউসমের

        ক্যালিফোর্নিয়ায় পানির নিচ থেকে নিখোঁজ মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার

        ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছে তিন রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য

        হারিকেন এরিন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসছে, আকারে বড় হচ্ছে ঝড়

        আনাহাইমে কার ওয়াশ ও হোম ডিপোতে অভিবাসন অভিযান, আটক একাধিক ব্যক্তি

        সান বার্নার্ডিনোতে অভিবাসন অভিযানে ফেডারেল এজেন্টের গুলি

        এয়ার কানাডার ফ্লাইট রবিবার থেকে চালু

        দেশে ফেরার সম্ভাবনা শেষ! সাকিবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

        ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট ঘোষণা

        প্রথম দিনেই ‘ধূমকেতু’ ২ কোটি আয় করল

        ওয়েব সিরিজে ‘ছোট বাদশা’ আরিয়ান খান, বাবার ভঙ্গিতেই ডেবিউ

        ইয়েমেনের রাজধানীতে বিস্ফোরণ: ইসরায়েলের হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ন্যাটোর কী হবে, শঙ্কায় ইউরোপীয়রা

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ন্যাটোর কী হবে, শঙ্কায় ইউরোপীয়রা

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্র যেসব সামরিক জোটে রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ন্যাটো। ৭৪ বছর আগে গড়ে ওঠা এই জোটের সদস্য আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পারের দেশগুলো। জোটে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তবে এই ন্যাটো নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ নাখোশ।

২০০০ সালে ট্রাম্পের একটি বই প্রকাশ পায়। ‘দ্য আমেরিকা উই ডিজার্ভ’ নামে ওই বইয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইউরোপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলে প্রতিবছর এই দেশের (যুক্তরাষ্ট্রের) লাখ লাখ ডলার বেঁচে যাবে।’ এমনকি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে প্রত্যাহারের হুমকিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে আবার লড়তে পারেন ট্রাম্প। এর আগে ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা একটি ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘ন্যাটোর উদ্দেশ্য ও অভিযানগুলো গোড়া থেকে যে পুনর্মূল্যায়ন কাজ আমার প্রশাসনের আমলে হাতে নিয়েছিলাম, তা শেষ করতে হবে।’

ওয়েবসাইটে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তিনি বা তাঁর দলের লোকজনও এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে বক্তব্যটি ঘিরে ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে ব্যাপক অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে।

ইউরোপে শান্তি বজায় রাখতে এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুরক্ষিত থাকতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ন্যাটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) গড়ে তোলা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্যটি ‘পঞ্চম অনুচ্ছেদ’ নামে পরিচিত। তাতে বলা হয়েছে, ন্যাটোর কোনো সদস্যের ওপর সামরিক হামলা হলে সেটাকে পুরো জোটের ওপর হামলা হিসেবে দেখা হবে। ওই উদ্দেশ্য সামনে রেখে এখনো কাজ করে যাচ্ছে ন্যাটো।

ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্প কী চান, তা জানতে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের কাছে যোগাযোগ করছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। এ নিয়ে জানাশোনা আছে, এমন দুজন জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনে নিয়োজিত ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিক্কো হাউতালা সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন। ন্যাটোর নতুন সদস্য হিসেবে তাঁর দেশ কতটা মূল্য রাখে, তা বোঝাতে চেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেমস জি স্টাভ্রিডিস বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলো বড় যে ভয় পাচ্ছে, তা হলো দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে সত্যিকার অর্থে ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করা হবে। আর তা হবে ওয়াশিংটনের দিক দিয়ে বিশাল এক কৌশলগত ও ঐতিহাসিক ব্যর্থতা।

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত