আপডেট :

        সিলেটে পাথরের সঙ্গে শাহ আরেফিন টিলাও লুট হয়ে গেল

        ডাকসুর আজীবন সদস্যের প্রস্তাবে হাসিনা মানতে পারেননি ‘ভেটো’, প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হামলা

        চীনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে স্বস্তিতে ভারত

        যুক্তরাষ্ট্রে শিপিং জালিয়াতি মামলায় ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

        আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী বেড়ে রেকর্ড গড়ল অন্টারিও বিমানবন্দর

        ক্যালিফোর্নিয়ায় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু

        মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৬,০০০ শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করেছে

        বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু

        সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিউসমের

        ক্যালিফোর্নিয়ায় পানির নিচ থেকে নিখোঁজ মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার

        ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছে তিন রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য

        হারিকেন এরিন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসছে, আকারে বড় হচ্ছে ঝড়

        আনাহাইমে কার ওয়াশ ও হোম ডিপোতে অভিবাসন অভিযান, আটক একাধিক ব্যক্তি

        সান বার্নার্ডিনোতে অভিবাসন অভিযানে ফেডারেল এজেন্টের গুলি

        এয়ার কানাডার ফ্লাইট রবিবার থেকে চালু

        দেশে ফেরার সম্ভাবনা শেষ! সাকিবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

        ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট ঘোষণা

        প্রথম দিনেই ‘ধূমকেতু’ ২ কোটি আয় করল

        ওয়েব সিরিজে ‘ছোট বাদশা’ আরিয়ান খান, বাবার ভঙ্গিতেই ডেবিউ

        ইয়েমেনের রাজধানীতে বিস্ফোরণ: ইসরায়েলের হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন

যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ বছরে সুদের হার সর্বোচ্চ, অর্থনীতিতে মন্দা নেই কেন

যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ বছরে সুদের হার সর্বোচ্চ, অর্থনীতিতে মন্দা নেই কেন

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

গত দুই বছর আগ্রাসীভাবে নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে তা এখন গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এখন কম; সে দেশের শেয়ারবাজার একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। মন্দার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না মার্কিন অর্থনীতিতে।

অর্থনীতির নিয়ম অনুসারে, ফেডারেল রিজার্ভ বা বিশ্বের যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার বৃদ্ধির অর্থ হলো, মন্দার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এর আগে সুদহার বৃদ্ধির কারণে মার্কিন অর্থনীতি চাপে পড়েছিল; কিন্তু এবার তেমন কোনো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।

সুদহার বেশি থাকার পরও মার্কিন অর্থনীতি বেশ শক্তিশালী। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, অংশত এর কারণ হলো, মহামারির সময় বাড়ির মালিকেরা যে অতি নিম্ন হারে বন্ধক রেখে পুনঃ অর্থায়নের সুবিধা পেয়েছিলেন, সেটা। ফেডারেল রিজার্ভ তখন বন্ধকের সুদহার প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছিল। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে মার্কিন নাগরিকদের আর্থিক ভিত্তি নানাভাবে শক্তিশালী হয়েছে, সে কারণে তাদের হাতে এখন সঞ্চয় আছে এবং খুব একটা ঋণ করতে হচ্ছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন, গত দুই বছর আগ্রাসীভাবে নীতি সুদহার বাড়ানো দরকার ছিল, এমনকি তাতে মার্কিন নাগরিকদের কিছু ক্ষতি হলেও।

জেরোম পাওয়েল সেদিন আরও বলেন, মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি হলেও নীতি সুদহার আগ্রাসীভাবে বাড়াতে হবে—এ কথা বলে তিনি সততার পরিচয় দিয়েছিলেন।

এর আগে যতবার নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে, ততবার একই কাণ্ড ঘটেছে, কিন্তু এবার তা হয়নি। অর্থনীতিবিদেরা বিস্মিত হলেও তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মার্কিন নাগরিকেরা মন্দার কবলে পড়েননি।

মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল হাতিয়ার হলো নীতি সুদহার নির্ধারণ। এই সুদহারের দ্বারা ঋণের সুদহার নির্ধারিত হয়। অর্থনীতির গতি কমানোর প্রয়োজন হলে ফেড বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই হাতিয়ার প্রয়োগ করে, অর্থাৎ নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরে।

মার্কিন নাগরিকদের বাড়ি কেনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হলো বন্ধকি ঋণ; এই ঋণের সুদহার ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রিত হয়। এই বন্ধকি ঋণের মধ্য দিয়ে নীতি সুদহার বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আগে তা যেভাবে কাজ করত, এবার তা হয়নি।

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত