আপডেট :

        ধর্ষণ মামলায় হার্ভকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০২০ সালে দেওয়া রায় বাতিল

        ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের জেরে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

        ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

        যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দমনে মারমুখী পুলিশ

        ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেফতার শতাধিক

        পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে

        গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর যুক্তরাষ্ট্রের !

        রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার নির্দেশ

        জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদান কখনোই ভুলবার নয়

        ৮৮ আসনে দুপুর পর্যন্ত কত ভোট পড়লো

        ২৬ জেলার ওপর তাপপ্রবাহ

        চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা

        চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা

        কেন্দ্রীয় কি ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে, প্রশ্ন টিআইবির

        ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

        বিমান হামলায় নিহত এক নারীর গর্ভ থেকে প্রসব হওয়া সন্তানটি মারা গেছে

        ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং গ্রেফতার

        তাপ্প্রবাহে ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

        তিন দিনের সফরে বর্তমানে চীনে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        ভারতীয় দলে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও বিরাট কোহলি নেই

যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ বছরে সুদের হার সর্বোচ্চ, অর্থনীতিতে মন্দা নেই কেন

যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ বছরে সুদের হার সর্বোচ্চ, অর্থনীতিতে মন্দা নেই কেন

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

গত দুই বছর আগ্রাসীভাবে নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে তা এখন গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এখন কম; সে দেশের শেয়ারবাজার একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। মন্দার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না মার্কিন অর্থনীতিতে।

অর্থনীতির নিয়ম অনুসারে, ফেডারেল রিজার্ভ বা বিশ্বের যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার বৃদ্ধির অর্থ হলো, মন্দার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এর আগে সুদহার বৃদ্ধির কারণে মার্কিন অর্থনীতি চাপে পড়েছিল; কিন্তু এবার তেমন কোনো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।

সুদহার বেশি থাকার পরও মার্কিন অর্থনীতি বেশ শক্তিশালী। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, অংশত এর কারণ হলো, মহামারির সময় বাড়ির মালিকেরা যে অতি নিম্ন হারে বন্ধক রেখে পুনঃ অর্থায়নের সুবিধা পেয়েছিলেন, সেটা। ফেডারেল রিজার্ভ তখন বন্ধকের সুদহার প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছিল। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে মার্কিন নাগরিকদের আর্থিক ভিত্তি নানাভাবে শক্তিশালী হয়েছে, সে কারণে তাদের হাতে এখন সঞ্চয় আছে এবং খুব একটা ঋণ করতে হচ্ছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন, গত দুই বছর আগ্রাসীভাবে নীতি সুদহার বাড়ানো দরকার ছিল, এমনকি তাতে মার্কিন নাগরিকদের কিছু ক্ষতি হলেও।

জেরোম পাওয়েল সেদিন আরও বলেন, মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি হলেও নীতি সুদহার আগ্রাসীভাবে বাড়াতে হবে—এ কথা বলে তিনি সততার পরিচয় দিয়েছিলেন।

এর আগে যতবার নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে, ততবার একই কাণ্ড ঘটেছে, কিন্তু এবার তা হয়নি। অর্থনীতিবিদেরা বিস্মিত হলেও তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মার্কিন নাগরিকেরা মন্দার কবলে পড়েননি।

মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল হাতিয়ার হলো নীতি সুদহার নির্ধারণ। এই সুদহারের দ্বারা ঋণের সুদহার নির্ধারিত হয়। অর্থনীতির গতি কমানোর প্রয়োজন হলে ফেড বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই হাতিয়ার প্রয়োগ করে, অর্থাৎ নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরে।

মার্কিন নাগরিকদের বাড়ি কেনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হলো বন্ধকি ঋণ; এই ঋণের সুদহার ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রিত হয়। এই বন্ধকি ঋণের মধ্য দিয়ে নীতি সুদহার বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আগে তা যেভাবে কাজ করত, এবার তা হয়নি।

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত