আপডেট :

        জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারে রোববার থেকে সাইট ব্লক

        নিউইয়র্কে সিলেটিদের প্রতিবাদ: উন্নয়ন বঞ্চনায় ক্ষোভ

        নিউইয়র্কে ডমেস্টিক সহিংসতা রোধে নতুন বিশেষ ইউনিট

        জুলাই সনদ সই শেষ, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এখনও অনিশ্চিত

        ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাইলফলক: ইইউ

        জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে সং ঘ র্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা

        দেড় মাস পর আবার খুলছে সুপ্রিম কোর্ট

        ২৫ আনসার সদস্য আহত, ১০ জন সিএমএইচে ভর্তি

        রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি: ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে পাকিস্তান

        সালমার তিন বিয়ে ও বিতর্ক: ফিরে দেখা জীবনের গল্প

        চায়ের দোকান থেকে বলিউড: ওম পুরির সিনেমার মতো জীবন

        বলিউড অভিনেত্রীর গর্ভপাতের পর কঠিন অভিজ্ঞতার বর্ণনা

        হোপের দাপটে বাংলাদেশের জয়ের আশা ঝুঁকিতে

        রিশাদের দাপটে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো জয়

        বর্ধিত মাশুল স্থগিতে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন, ৭ দিনের আল্টিমেটাম

        পিআর নিয়ে টালবাহানা সহ্য করবে না জনগণ: চরমোনাই পীর

        গাজার যুদ্ধবিরতি নেতানিয়াহুর জন্য ৬টি বড় বিপদ ডেকে আনল

        পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ৪৮ ঘণ্টার নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

        নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: সরকার

        বিমানবন্দর দ্রুত চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেন উপদেষ্টা

হামলার শিকার যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

হামলার শিকার যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্টের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা থেকে বাদ যাননি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীও। এমনকি আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন জন এফ কেনেডিসহ চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রক্তাক্ত হতে দেখল বিশ্ববাসী। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই সময় সেখানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি।

ট্রাম্প বক্তব্য শুরুর পরপরই মঞ্চ বরাবর গুলি করেন আততায়ী। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে যায়। দর্শক সারিতে থাকা একজন নিহত এবং আরও দুজন গুরুতর আহত হন। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন সন্দেহভাজন হামলাকারীও।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হামলার শিকার হয়েছেন–

অ্যান্ড্রু জ্যাকসন: আমেরিকার গৃহযুদ্ধের আগে প্রেসিডেন্ট ছিলেন অ্যান্ড্রু জ্যাকসন। ক্যাপিটলে একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর দুবার গুলি করেন হামলাকারী। কিন্তু একটি গুলিও জ্যাকসনের শরীরে লাগেনি। বেঁচে যান তিনি।

থিওডোর রুজভেল্ট: সময়টা ১৯১২ সাল। ট্রাম্পের মতো আবারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন থিওডোর রুজভেল্ট। প্রচার সভায় বক্তব্য দিতে উইসকনসিনের মিলওয়াউকিতে যাচ্ছিলেন তিনি। একজন সেলুন তত্ত্বাবধানকারী তাঁকে গুলি করেন। তবে হামলাটি ব্যর্থ হয়।

ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তখনো দায়িত্ব নেননি ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। ১৯৩৩ সালে মিয়ামিতে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করেন আততায়ী। রুজভেল্টকে হত্যা করতে ব্যর্থ হন হামলাকারী। তবে গুলিতে নিহত হন পাশে থাকা শিকাগোর মেয়র।

হ্যারি ট্রুম্যান: ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট মারা যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হ্যারি ট্রুম্যান। ১৯৫০ সালে পুয়ের্তো রিকোর একজন জাতীয়তাবাদী হোয়াইট হাউসের বাইরে তাঁর ওপর হামলা চালান। তবে বেঁচে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জর্জ ওয়ালেস: তখন জর্জ আলাবামা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর। ১৯৭২ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওয়াশিংটনের বাইরে তাঁর ওপর গুলি করা হয়। এতে প্রাণে বাঁচলেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন এই রাজনীতিক।

জেরাল্ড ফোর্ড: সময়টা ১৯৭৫ সাল। পরপর দুবার হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট ফোর্ড।

রোনাল্ড রিগ্যান: ওয়াশিংটনের হিলটন হোটেলের বাইরে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। হঠাৎ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। আহত হন প্রেসিডেন্ট। রিগ্যানের চেয়েও গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাঁর প্রেস সেক্রেটারি জেমস ব্র্যাডি।

বারাক ওবামা: হোয়াইট হাউসে ২০১১ সালে গুলি করে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ওবামাকে হত্যাচেষ্টায় আইডাহোর এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মোট চারজন প্রেসিডেন্ট আততায়ীর হামলায় নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন আব্রাহাম লিংকন, জেমস এ গারফিল্ড, উইলিয়াম ম্যাককিনলে এবং জন এফ কেনেডি।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরে রাজনৈতিক সফরে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কেনেডি।

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত