আজ রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন
হামলার নেপথ্যে ম্যাথিউ ক্রুকের সঙ্গে আর কেউ ছিলেন না
ট্রাম্পের সভায় হামলা চালানো ওই তরুণ টমাস ম্যাথিউ ক্রুকসকে যারা ছোটবেলা থেকে চেনেন, তারা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই একা থাকতে ভালবাসতেন তিনি। স্কুলে তার কয়েক জন সহপাঠী জানিয়েছেন, কারও সঙ্গেই মিশতে চাইতেন না ম্যাথিউ। রাজনীতিতেও তার কোনও রকম উৎসাহ ছিল না। এই স্বভাবের জন্য ক্লাসের অন্য সহপাঠীরা তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে জানানো হয়েছে। এক সহপাঠীর কথায়, “আমি তো ভাবতেই পারছি না ম্যাথিউ এই কাজ করেছে। ওর মতো শান্ত, মুখচোরা ছেলে এটা করল কীভাবে?”
জানা গিয়েছে, ম্যাথুর বাবা এবং মা দু’জনেই আচরণ সংক্রান্ত কাউন্সেলিং করে থাকেন। তাদের পুত্রের মধ্যেও আচরণগত কোনও পরিবর্তন, তারা লক্ষ্য করেছিলেন কি না, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। যদিও এখনই বিস্তারিত ভাবে মুখ খুলতে চায়নি তরুণের পরিবারটি।
আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। গত শনিবার তার প্রচারসভা ছিল পেনসিলভেনিয়ায়। সেখানেই ঘটে বন্দুকবাজের এই হানা। হঠাৎ পর পর তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। কথা বলতে বলতে আচমকা ডান কানে হাত দেন ট্রাম্প। কিছু যে ঘটেছে, বুঝতে পেরে মুহূর্তে নিচু হয়ে বসে পড়েন পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা সমর্থকেরা। ট্রাম্প নিজেও কানে হাত দিয়েই বসে পড়েন। মঞ্চেই পোডিয়ামের আড়ালে তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিছু ক্ষণ পরে তাকে ধরে আস্তে আস্তে তোলা হয়। ট্রাম্প উঠে দাঁড়ান। দেখা যায়, তার ডান কান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। মুখেও রক্ত লেগে রয়েছে।
ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সি টমাস ম্যাথিউ ক্রুক। পাল্টা গুলিতে উড়ে যায় তাঁর মাথা। এই হামলার নেপথ্যে ম্যাথিউ ক্রুকের সঙ্গে আর কেউ ছিলেন না বলেই মনে করছে এফবিআই। পেনসিলভেনিয়াতে বক্তৃতা দেওয়ার সময়েই আক্রান্ত হন ট্রাম্প। তাঁর মঞ্চ থেকে ১৩০ গজ (১১৯ মিটার) দূরে একটি উঁচু ছাদ থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছুড়েছিলেন ক্রুক। কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় সেই গুলি। তবে ক্রুকের ছোড়া গুলিতে ট্রাম্পের দলের এক জন সমর্থক নিহত হন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক বিষয় নিয়ে কাটাছেঁড়া করছে এফবিআই।
ট্রাম্পের উপর হামলার নেপথ্যে উদ্দেশ্য কী, তা খুঁজতে সন্ত্রাস দমন সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে এফবিআই। তদন্তকারী সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্তের এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে, হামলাকারী একাই ছিলেন। তবে তদন্ত আরও অগ্রসর হলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
ক্রুকের বন্দুকটি, যা থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, তা উদ্ধার করেছে এফবিআই। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ওই অস্ত্রটি এআর-স্টাইল ৫৫৬ রাইফেল। তার লাইসেন্সও ছিল। সেই লাইসেন্স ছিল ক্রুকের বাবার নামে। তবে সেই রাইফেলটি কীভাবে ক্রুক ব্যবহার করলেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন