বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
ট্রাম্প-জেলেনস্কি সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইউক্রেনপন্থী বিক্ষোভ
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির তীব্র বিতর্কের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইউক্রেনপন্থী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং বোস্টনে শত শত মানুষ ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। একইসঙ্গে, ভারমন্টের ওয়াইটসফিল্ড শহরের সড়কে ইউক্রেনপন্থী পোস্টার হাতে বিক্ষোভকারীদের দেখা গেছে, যেখানে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স ও তার পরিবার স্কি ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের কারণে ভ্যান্সের পরিবার তাদের নির্ধারিত স্কি রিসোর্টের পরিবর্তে একটি গোপন স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে।
ভ্যান্সের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, প্রতিবাদে তীব্রতা
ওয়াইটসফিল্ডে ট্রাম্প-ভ্যান্স প্রশাসনের বিরুদ্ধে আগেই বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার পর এই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে।
"শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যা ঘটেছে, তা আরও অনেক মানুষকে আজ রাস্তায় নামতে উৎসাহিত করেছে," বলেছেন জুডি ড্যালি, যিনি ভারমন্টের ‘ইনডিভিজিবল ম্যাড রিভার ভ্যালি’ গ্রুপের পক্ষ থেকে বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন।
বিক্ষোভকারী কোরি গিরক্স বলেন, "ভ্যান্স সীমা অতিক্রম করেছেন।"
এদিকে, ভারমন্টের গভর্নর ফিল স্কট, যিনি ট্রাম্পকে ভোট দেননি, তিনি জনগণকে ভাইস-প্রেসিডেন্টের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "আমি ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবারকে ভারমন্টে স্বাগত জানাই। আশা করি তারা এখানে ভালো সময় কাটাবেন।"
তবে বিক্ষোভের বিষয়ে ভ্যান্স এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, ওয়াইটসফিল্ডে ট্রাম্প ও ভ্যান্সের সমর্থকরাও পাল্টা বিক্ষোভ করেছে।
মাস্কের বিরুদ্ধে টেসলা স্টোরে বিক্ষোভ
শনিবার বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে টেসলা স্টোরের সামনে জড়ো হয়ে ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প "ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি" (Doge) এর দায়িত্ব ইলন মাস্ককে দিয়েছেন, যার লক্ষ্য সরকারি ব্যয় হ্রাস করা।
বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন, "সরকারি ব্যয় কমানোর এই নীতি গরিব জনগণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।"
ওভাল অফিসে উত্তপ্ত বিতর্ক
শুক্রবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে এক নজিরবিহীন বিতর্ক হয়।
ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলেন, "তুমি যদি রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি না করো, তাহলে আমরা সাহায্য বন্ধ করব।"
এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন যে, "যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার জন্য জেলেনস্কি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি এবং বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিচ্ছেন।"
ভ্যান্সও জেলেনস্কির সমালোচনা করে বলেন, "তিনি গণমাধ্যমের সামনে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।"
ইউক্রেন ইস্যুতে লন্ডনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
রবিবার ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের আয়োজিত সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন জেলেনস্কি।
বৈঠকের আগে, যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ২.২৬ বিলিয়ন পাউন্ড (২.৮৪ বিলিয়ন ডলার) ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যা ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা ও পুনর্গঠনে ব্যয় করা হবে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন