বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
কোলাম্বিয়ার ছাত্র খলিলকে দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার একজন বিচারক আজ সিদ্ধান্ত দেবেন যে, কোলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র ও কর্মী মাহমুদ খালিলকে আটক থেকে মুক্তি দেওয়া হবে কিনা, নাকি তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হবে।
৩০ বছর বয়সী এই গ্রিন কার্ডধারী নাগরিক গত ৮ মার্চ থেকে আটক রয়েছেন। তখন মার্কিন ইমিগ্রেশন অফিসাররা তাকে জানিয়েছিলেন, গাজা যুদ্ধবিরোধী এবং ইসরায়েলের সঙ্গে নিউইয়র্কের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ায় তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে।
খালিলের আইনজীবী মার্কিন সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করার চেষ্টা করার জন্য। তার মতে, সরকার খালিলের গ্রেফতারের সপক্ষে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
এই সপ্তাহের শুরুতে বিচারক জামি কোম্যানস হুঁশিয়ারি দেন, যদি সরকার খালিলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারে, তবে মামলাটি বাতিল করা হবে। শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে শুক্রবার বিকালে।
বৃহস্পতিবার, খালিলের আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর একটি দুই পৃষ্ঠার মেমো প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়েছে, খালিলের উপস্থিতি "বিশ্বজুড়ে এবং অভ্যন্তরীণভাবে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে বিঘ্ন ঘটাতে পারে"।
ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এই মেমোটি আদালতে দাখিল করা হয়েছিল।
রুবিও বলেন, “তার কর্মকাণ্ড আইনসঙ্গত হলেও” তাকে বহিষ্কার করার উদ্দেশ্য ছিল “মার্কিন ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও সহিংসতা থেকে রক্ষা করা।”
কিন্তু খালিলের আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডার হাউট বলেছেন, “ইহুদিবিদ্বেষের কোনো প্রমাণ এখনো হাজির করা হয়নি। শুধু ইসরায়েল এবং গাজার গণহত্যা নিয়ে সমালোচনা করলেই কি সেটা অপরাধ?”
তিনি বলেন, “এই দেশ – সেটা নাগরিক হোক বা অভিবাসী – সবাইকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেয়। জনপ্রিয় হোক বা না হোক, বাকস্বাধীনতাই এই দেশের ভিত্তি।”
খালিল সিরিয়ার একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে বেড়ে ওঠেন এবং দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন যে তার ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষমূলক বা হামাসপন্থী।
উল্লেখ্য, হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
তিনি গত বছর কোলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন