আপডেট :

        বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু

        সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিউসমের

        ক্যালিফোর্নিয়ায় পানির নিচ থেকে নিখোঁজ মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার

        ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছে তিন রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য

        হারিকেন এরিন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসছে, আকারে বড় হচ্ছে ঝড়

        আনাহাইমে কার ওয়াশ ও হোম ডিপোতে অভিবাসন অভিযান, আটক একাধিক ব্যক্তি

        সান বার্নার্ডিনোতে অভিবাসন অভিযানে ফেডারেল এজেন্টের গুলি

        এয়ার কানাডার ফ্লাইট রবিবার থেকে চালু

        দেশে ফেরার সম্ভাবনা শেষ! সাকিবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

        ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট ঘোষণা

        প্রথম দিনেই ‘ধূমকেতু’ ২ কোটি আয় করল

        ওয়েব সিরিজে ‘ছোট বাদশা’ আরিয়ান খান, বাবার ভঙ্গিতেই ডেবিউ

        ইয়েমেনের রাজধানীতে বিস্ফোরণ: ইসরায়েলের হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন

        বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ইয়েমেনের রাজধানীর কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্রে

        সর্বশেষ অবস্থান কী মহাশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এরিনের?

        ভারতীয়রা ‘বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী’ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন

        নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, প্রধান উপদেষ্টা নিজে ক্লিয়ার করেছেন: রিজওয়ানা

        বাংলাদেশের মেয়েদের নজর ভুটানের শিরোপাতে

        শেখ মুজিবের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লিখে টাকা-ফ্ল্যাট দেওয়ার ঘটনা তদন্তে লিগ্যাল নোটিশ দুদককে

        অরেঞ্জ কাউন্টিতে ১ লাখ ডলারের চুরি করা মালামালসহ নারী গ্রেপ্তার

কারনি ট্রাম্পকে সাফ জানালেন: “কানাডা কখনোই বিক্রি হবে না”

কারনি ট্রাম্পকে সাফ জানালেন: “কানাডা কখনোই বিক্রি হবে না”

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “কানাডা বিক্রির জন্য নয়—আর কখনোই হবে না।” মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে বৈঠককালে ট্রাম্পের ৫১তম রাজ্য হিসেবে কানাডাকে যুক্ত করার প্রস্তাবের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হওয়া কারনি প্রচারণার সময় থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের কথা বলেছিলেন। নির্বাচনের পর এই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার মুখোমুখি দেখা হলো।

ট্রাম্প এর আগে কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ সাধারণ ট্যারিফ ও নির্দিষ্ট খাতে—বিশেষ করে গাড়ি, অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিল—পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। এছাড়া কানাডা যথাযথভাবে ফেন্টানিল প্রবাহ বন্ধ করছে না বলেও তিনি অভিযোগ করে আসছেন।

হোয়াইট হাউজে বৈঠকের শুরুতে অবশ্য দুই নেতা একে অপরকে প্রশংসা করেন। ট্রাম্প কারনিকে “অত্যন্ত মেধাবী ব্যক্তি” বলে অভিহিত করেন এবং তার নির্বাচনী জয়কে “রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম সেরা প্রত্যাবর্তন” বলে উল্লেখ করেন।

কারনিও ট্রাম্পকে বলেন, “আপনি এক রূপান্তরকারী প্রেসিডেন্ট। আমেরিকান শ্রমিক, সীমানা, ও বিশ্বের নিরাপত্তায় আপনার দৃঢ় মনোযোগ আছে। আপনি ন্যাটোকে পুনর্জীবিত করেছেন।”

তবে, বন্ধুসুলভ পরিবেশে হলেও উত্তেজনা তৈরি হয় যখন ট্রাম্প পুনরায় বলেন যে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হলে আরও ভালো হবে।

এ সময় কারনি কৌশলী কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় জবাব দেন:
“আপনি তো রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। কিছু জায়গা আছে যেগুলো কখনোই বিক্রির জন্য হয় না—যেমন ওভাল অফিস, কিংবা ব্রিটেনের বাকিংহাম প্যালেস। নির্বাচনকালীন কয়েক মাসে আমি কানাডার প্রকৃত মালিকদের (জনগণের) সঙ্গে দেখা করেছি। তারা জানিয়ে দিয়েছেন—কানাডা বিক্রির জন্য নয়, কখনোই নয়।”

ট্রাম্প জবাবে হেসে বলেন, “কখনোই বলো না কখনোই না।”

বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়। একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলে ট্রাম্প সোজাসাপ্টা বলেন, “না, কোনো ছাড় নেই। এটাই বাস্তবতা।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নিজেদের গাড়ি নিজেরা বানাতে চাই।”

ট্রাম্প কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকেও কটাক্ষ করে বলেন, তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল উত্তেজনাপূর্ণ, কিন্তু কারনির সঙ্গে আলোচনা ছিল একেবারে ভিন্ন।

তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করেন যে নতুন করে কোনো বাণিজ্য চুক্তি সই করার তাড়া তার নেই। তিনি বলেন, “সবাই জিজ্ঞেস করে, কবে সই হবে চুক্তি? আমাদের সই করতে হবে না, ওদের করতে হবে। ওরা আমাদের বাজার চায়, আমরা ওদের বাজার চাই না।”

কারনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং ট্রাম্প আলোচনার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে, চূড়ান্ত ফল নির্ধারণে সময় লাগবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

তিনি আরও জানান, তিনি আবারো ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন যেন কানাডাকে আমেরিকার রাজ্য বানানোর বিষয়টি না তোলেন। “বাস্তবতা আর কল্পনার মধ্যে পার্থক্য থাকা জরুরি,” বলেন কারনি।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের সময় কারনি ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে কানাডার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের অর্থনীতিকে নতুন করে কল্পনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

২০২৪ সালে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় ৭৬০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আদান-প্রদান হয়েছে। কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং মার্কিন পণ্যের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত