বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
হোয়াইট হাউস ও কাতারের মধ্যে বিলাসবহুল বিমানের সম্ভাব্য হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস এবং কাতারের রাজপরিবারের মধ্যে একটি বিলাসবহুল জম্বো জেট বিমান অস্থায়ীভাবে এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় যুক্ত রয়েছে উভয় দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো উপহার নয় বরং “অস্থায়ী ব্যবহারের” জন্য একটি বিমান সরবরাহের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। কাতারের যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মিডিয়া অ্যাটাশে আলী আল-আনসারি জানান, বিষয়টি এখনও উভয় দেশের আইন বিভাগ পর্যালোচনা করছে এবং এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য বিমানের প্রস্তুতি
CBS News-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি অবসর নেওয়ার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হতে পারে। তবে বিমানটি এখনই ব্যবহারের উপযুক্ত নয়, এটি নিরাপত্তা যাচাই ও রেট্রোফিটিংয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে।
ট্রাম্প নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Truth Social-এ পোস্ট করে বিমানটিকে “উপহার” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট একটি GIFT পাচ্ছে, একেবারে ফ্রি, একটি ৭৪৭ বিমান... এটা ‘ক্রুকড ডেমোক্রেট’দের এতটাই বিরক্ত করছে যে তারা বলছে আমাদের এটা কিনতে হবে!”
আইনি ও নৈতিক প্রশ্ন উঠতে পারে
বিমানের উচ্চ মূল্য ও হস্তান্তরের পদ্ধতি নিয়ে আইনি ও নৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। তবে হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, “যেকোনো বিদেশি সরকারের উপহার আইন অনুযায়ীই গ্রহণ করা হয়, এবং ট্রাম্প প্রশাসন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে।”
পুরাতন এয়ার ফোর্স ওয়ান ও নতুন প্রস্তাবনা
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা দুটি Boeing 747-200B বিমান ব্যবহার করেন, যা ১৯৯০-৯১ সাল থেকে চালু রয়েছে। নতুন করে এয়ার ফোর্স ওয়ান নির্মাণের জন্য বোয়িংকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও বিমান প্রস্তুত হতে ২০২৭-২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এই পরিস্থিতিতে কাতারের দেওয়া নতুন মডেলের Boeing 747-8, যা “উড়ন্ত প্রাসাদ” হিসেবে পরিচিত, একটি বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ট্রাম্প ও কাতারের সম্পর্ক
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল বেশ ইতিবাচক। ২০১৯ সালে কাতার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় অঙ্কে বিমান কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। কাতার অতীতে তুরস্কসহ আরও কয়েকটি দেশকে বিলাসবহুল বিমান উপহার হিসেবে দিয়েছে।
ট্রাম্প এই সপ্তাহেই দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বড় বিদেশ সফরে কাতার যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন