অবৈধ অভিবাসন দমনে হন্ডুরাস ও উগান্ডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত চুক্তি
ঋণের উদ্বেগে শেষ নিখুঁত ক্রেডিট রেটিং হারাল যুক্তরাষ্ট্র
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্র তাদের শেষ নিখুঁত (ট্রিপল-এ) ক্রেডিট রেটিং হারিয়েছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রেটিং সংস্থা মুডিজ (Moody’s) সরকারের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রেটিং কমিয়ে ‘AAA’ থেকে ‘Aa1’করেছে।
মুডিজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সরকারের ঋণের পরিমাণ এবং সুদের হার যেভাবে বেড়েছে, তা অন্যান্য একই রেটিংধারী দেশের তুলনায় অনেক বেশি।"
একটি ট্রিপল-এ রেটিং একটি দেশের সর্বোচ্চ আর্থিক নির্ভরযোগ্যতা নির্দেশ করে। এটি বোঝায় যে দেশটি খুব ভালো আর্থিক অবস্থায় আছে এবং তার ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা শক্তিশালী।
২০২৩ সালে মুডিজ প্রথম সতর্ক করেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিপল-এ রেটিং ঝুঁকিতে রয়েছে। একই বছর ফিচ রেটিংস (Fitch)যুক্তরাষ্ট্রের রেটিং কমিয়ে দেয় এবং এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস (S&P)২০১১ সালেই রেটিং কমিয়েছিল। তবে মুডিজ ১৯১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিপল-এ রেটিং ধরে রেখেছিল।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, "আমরা বাইডেনের সৃষ্ট অরাজকতা ঠিক করার কাজে মনোযোগী।" পাশাপাশি তারা মুডিজের সমালোচনা করে বলে, "যদি মুডিজের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা থাকতো, তবে তারা গত চার বছরের আর্থিক বিপর্যয়ে নীরব থাকতো না।"
রেটিং কমে যাওয়ার মানে হচ্ছে, দেশটি তাদের ঋণ পরিশোধে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ নিতে হলে বেশি সুদ গুণতে হবে।
তবে মুডিজ আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও অনেক ব্যতিক্রমী অর্থনৈতিক শক্তি ধরে রেখেছে—যেমন বিশাল অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি। পাশাপাশি, মার্কিন ডলার এখনও বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রাহিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মুডিজের অনুমান, ২০৩৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ জিডিপির ১৩৪%পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যেখানে গত বছর এটি ছিল ৯৮%।
এদিকে, একই দিনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুল আলোচিত ব্যয়ের বিলকংগ্রেসে ধাক্কা খায়। বাজেট কমিটিতে বিলটি আটকে যায়, কিছু রিপাবলিকান সদস্যের বিরোধিতার কারণে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এ বছরের প্রথম তিন মাসে সংকুচিত হয়েছে। বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ব্যয় হ্রাস ও আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি বার্ষিক হারে ০.৩% হ্রাসপেয়েছে, যেখানে গত প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ২.৪%।
বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন