অবৈধ অভিবাসন দমনে হন্ডুরাস ও উগান্ডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত চুক্তি
নিউ অরলিন্স জেল ব্রেকে ভেতরের কারো সহায়তা, সন্দেহ পুলিশের
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
নিউ অরলিন্সের একটি জেল থেকে ১০ জন বন্দী পালিয়ে গেছে, যাদের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এই পালানোর ঘটনায় জেলের ভেতরকার কারো সহায়তা থাকতে পারে।
অরলিন্স প্যারিশ জেলথেকে বন্দিরা বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৩ মিনিটে (স্থানীয় সময়)পালানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। সকালে ৮:৩০টার দিকেগণনা করার সময় বন্দিদের অনুপস্থিতি টের পায় কর্তৃপক্ষ।
শেরিফ সুসান হাটসনএক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই জেল থেকে কেউ যদি পালিয়ে থাকে, তবে তার সাহায্য ছাড়া সেটা সম্ভব নয়।”
পালিয়ে যাওয়া বন্দিরা একাধিক ঠাট্টা-মশকরার বার্তারেখে গেছে, যা জেলের দেয়ালে লেখা ছিল। একটি বার্তায় লেখা ছিল: “To Easy LoL” — অর্থাৎ “খুব সহজ, হা হা!”
পুলিশ জানায়, পালিয়ে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে একজনইতোমধ্যে নিউ অরলিন্সের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারএলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরকে “সশস্ত্র ও বিপজ্জনক”বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাদের ধরতে মানহান্টচলছে।
লুইজিয়ানা স্টেট পুলিশ জানায়, ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজিব্যবহার করে কেনডাল মাইলসনামের এক পালানো বন্দিকে সনাক্ত করা হয়। তাকে পরে একটি গ্যারেজে একটি গাড়ির নিচে লুকিয়ে থাকা অবস্থায়গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে পুনরায় একই জেলে নিয়ে গিয়ে নতুন অভিযোগে চার্জ করা হয় — 'সিম্পল এস্কেপ'।
নিউ অরলিন্স পুলিশ বিভাগ বাকিদের নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে।
প্রথমে জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১১ জন পালিয়েছে, তবে পরে সংখ্যাটি সংশোধন করে ১০ জন বলা হয়।
শেরিফ হাটসন জানান, বন্দিরা প্রথমে জেলের স্লাইডিং দরজা ট্র্যাক থেকে খুলে ফেলে, পরে টয়লেট ভেঙেদেয়ালের পাইপলাইন ব্যবহৃত অংশ দিয়ে পালানোর পথ তৈরি করে। দেয়ালে থাকা লোহার রড গুলি কাটাছিল — যেটা থেকে ধারণা করা হচ্ছে পালাতে পূর্বপরিকল্পিত প্রস্তুতি ছিল এবং কেউ হয়তো সাহায্য করেছে।
এরপর তারা দেয়াল বেয়ে নিচে নেমে একটি হাইওয়ে পার হয়ে পালিয়ে যায়।
ছবিতে দেখা গেছে, দেয়ালে লেখা রয়েছে “To Easy LoL”— এর পাশে একটি হাসিমুখ আঁকা, জিহ্বা বের করে। অন্য একটি আংশিক মুছে যাওয়া বার্তায়পুলিশকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, “পেরে ধরতে পারো তো ধরো”।
নিউ অরলিন্স পুলিশ প্রধান অ্যান কার্কপ্যাট্রিকবলেছেন, এটি একটি “জরুরি ও গুরুতর” ঘটনা। তিনি সাধারণ জনগণকে সন্দেহজনক কিছু দেখলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানান, যেসব বন্দি পালিয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই খুনসহ সহিংস অপরাধে অভিযুক্তএবং তাদের ভুক্তভোগীদের ইতোমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “পালিয়ে যাওয়া বন্দিরা সম্ভবত এখন আর জেলের পোশাক পরে নেই এবং যারা তাদের সহায়তা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনার তদন্তে এখন এফবিআই ও ইউএস মার্শাল সার্ভিসযুক্ত হয়েছে।
অরলিন্স প্যারিশ জেলনিউ অরলিন্স শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত, প্রায় ৩ কিমি দূরেশহরের বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারএলাকা থেকে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন