অবৈধ অভিবাসন দমনে হন্ডুরাস ও উগান্ডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত চুক্তি
মিডওয়েস্টে টর্নেডোর তাণ্ডবে নিহত অন্তত ২৫, বহু আহত
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি ও মিজৌরিতে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কেনটাকিতে ১৮ জন এবং মিজৌরিতে ৭ জন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মিজৌরির সেন্ট লুইস শহরে একাই প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন।
শনিবার ভোররাতে কেনটাকির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় লরেল কাউন্টিতে টর্নেডোটি আঘাত হানে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মিজৌরি রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৫,০০০ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেক ভবনের ছাদ উড়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে গেছে। এর ফলে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুই রাজ্যে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।
সেন্ট লুইস শহরের দমকল বিভাগ জানায়, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সেন্ট লুইসের মেয়র কারা স্পেন্সার জানান, তার এলাকায় অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছেন, বেশিরভাগই ভবনের ধস ও গাছ ভেঙে পড়ার কারণে।
কেনটাকির লরেল কাউন্টির শেরিফ জন রুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, "ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চলছে এবং আমরা জীবিতদের সন্ধানে তৎপর।"
জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (NWS) তথ্যমতে, শনিবার বিকেল ২:৩০-এর কিছু পরে সেন্ট লুইস শহরের পশ্চিমাংশে, ফরেস্ট পার্কের কাছে (যেখানে সেন্ট লুইস চিড়িয়াখানা ও ১৯০৪ সালের অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল) প্রথম টর্নেডোটি আঘাত হানে।
সেন্ট লুইস ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সেন্টেনিয়াল খ্রিস্টান গির্জার একটি অংশ ধসে পড়লে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন মারা যান।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে, যাতে ধ্বংসস্তূপে আহত হওয়া এবং লুটপাট প্রতিরোধ করা যায়।
মেয়র স্পেন্সার বলেন, “জীবনের এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি এবং ধ্বংসযজ্ঞ সত্যিই মর্মান্তিক। সামনে অনেক কাজ বাকি আছে, তবে আপাতত আমাদের লক্ষ্য জীবিতদের উদ্ধার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আশেপাশের ইলিনয় রাজ্যেও টর্নেডোর আঘাত হেনেছে এবং আবহাওয়ার অবনতি পূর্ব দিকে আটলান্টিক উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে, টেক্সাসের উত্তরাঞ্চলেও এই সপ্তাহান্তে শক্তিশালী ঝড় এবং টর্নেডো আঘাত হানতে পারে।
টর্নেডোর এই আঘাত যুক্তরাষ্ট্রের ‘টর্নেডো অ্যালি’ নামক অঞ্চলে হয়েছে, যেখানে প্রতি বছর মে ও জুন মাসে টর্নেডোর ঘটনা বেশি ঘটে।
আবহাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে মে মাসে কেনটাকিতে গড়ে ৫টি এবং মিজৌরিতে গড়ে ১৬টি টর্নেডো দেখা যায়।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন