বিশ্বব্যাপী সুনাম বাড়ছে চীনের এবং কমছে যুক্তরাষ্ট্রের: রিপোর্ট
ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিতে হতাশা বাড়ছে
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে পররাষ্ট্র নীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তিনি ঐতিহ্যগত নৈতিক নেতৃত্বের মুখোশ সরিয়ে সরাসরি লেনদেনভিত্তিক কৌশল গ্রহণ করেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ঘোষণা করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের জাতি-গঠন ও গণতন্ত্র প্রচারের নীতি এখন পরিত্যক্ত। এর পরিবর্তে, ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক চুক্তি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে আমেরিকার স্বার্থকেন্দ্রিক।
সম্প্রতি সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে, ট্রাম্প বিশাল বিনিয়োগ চুক্তি করেছেন, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছেন, যেমন সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের ভূমিকা। সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পের নীতিতে জাতীয় এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ মিশে গেছে, যেখানে তার পরিবার উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসায়িক চুক্তি থেকে লাভবান হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদিও পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলো নৈতিকতা ও স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে চেয়েছে, ট্রাম্প স্পষ্টভাবে তার ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক এজেন্ডাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, কোনো নৈতিক বিবেচনা ছাড়াই। সাবেক কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি অবহেলা নতুন নয়, তবে এটি একটি চরম রূপ নিয়েছে।
ট্রাম্পের এই নীতি পরিবর্তন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের লেনদেনভিত্তিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক নেতৃত্বের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে এবং বিশ্বে তার প্রভাব কমিয়ে দিচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন