আপডেট :

        মিনেসোটায় আইনপ্রণেতাদের ওপর গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

        ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী বহিষ্কার অভিযান আরও জোরদার

        দেশের মানুষ পোলাও-কোরমা চায় না, ভোট দিতে চায় বললেন মঈন খান

        ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, বিপাকে ৪০ হাজার পর্যটক

        দেশের দিকে ধেয়ে আসছে বৃষ্টিবলয় ‘রিমঝিম’

        সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

        মোসাদের এক ‘গুপ্তচরকে’ ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান

        তাণ্ডব হচ্ছে ডায়মন্ড নেকলেসের সবুজ লকেট

        ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের

        তেল আবিবে ইরানের অতর্কিত হামলা: ‘নতুন কৌশলে’ ধ্বংস হলো বহু ভবন

        ‘আমরা বোর্ডে গেলে ক্রিকেটের ভালো করার জন্যই যাওয়া উচিত' তামিম

        সিলেটে করোনায় একজনের অবস্থা আ শ ঙ্কা জ ন ক

        ভারত ও প্রিয়াঙ্কায় মুগ্ধ অভিনেত্রী জুলিয়ান মুর

        নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্ব

        ছুটির পর ফের শুরু সংস্কারের সংলাপ

        নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান

        সোফাই স্টেডিয়ামের কাছে জনতার ভিড়ে গাড়িচাপা , আহত অন্তত ৬ জন

        ফার্ম, হোটেল ও রেস্টুরেন্টে অভিবাসন অভিযান স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন

        লস এঞ্জেলেসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে উত্তেজনা, পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ

        ইসরায়েল-ইরান ফের সংঘাতে: দুই দেশে নিহত অন্তত ২৬, যুদ্ধ জোরালো হচ্ছে

মিনেসোটায় রাজনৈতিক হত্যাচেষ্টায় এক আইনপ্রণেতা নিহত, অপরজন গুরুতর আহত

মিনেসোটায় রাজনৈতিক হত্যাচেষ্টায় এক আইনপ্রণেতা নিহত, অপরজন গুরুতর আহত

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

শনিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে দু’জন রাজ্য আইনপ্রণেতার বাসায় বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়াল্‌জ একে "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা প্রচেষ্টা" বলে অভিহিত করেছেন। হামলায় একজন জনপ্রতিনিধি ও তার স্বামী নিহত হন, অপরজন এবং তাঁর স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত ও আহত কারা?

নিহত হচ্ছেন স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ মেলিসা হর্টম্যান (Melissa Hortman) এবং তাঁর স্বামী মার্ক হর্টম্যান। পুলিশ জানায়, তাঁরা নিজ বাসভবনে গুলিবিদ্ধ হন। মেলিসা হর্টম্যান মিনেসোটা হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ২০ বছর ধরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অপর হামলায় আহত হয়েছেন স্টেট সিনেটর জন হফম্যান (John Hoffman) এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁরা দুজনেই গুলিবিদ্ধ হন এবং জরুরি অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুই আইনপ্রণেতাই ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য।

কীভাবে হামলা হয়েছে?

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর ২টার দিকে জন হফম্যানের বাড়িতে প্রথম হামলার সংবাদ পায় তারা। এরপর ৩টা ৩৫ মিনিটে মেলিসা হর্টম্যানের বাড়িতে দ্বিতীয় হামলার খবর আসে। পুলিশ সেখানে গিয়ে বন্দুকধারীর সাথে গুলিবিনিময়ে জড়িয়ে পড়ে, তবে হামলাকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

বলা হচ্ছে, হামলাকারী একজন ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা সেজে এসেছিলেন। তাঁর কাছে পুলিশি গাড়ির মতো দেখতে একটি গাড়ি, ব্যাজ এবং ইউনিফর্ম ছিল।

সন্দেহভাজন কে?

পুলিশ ৫৭ বছর বয়সী ভ্যান্স লুথার বোল্টার (Vance Luther Boelter) নামের একজনকে সন্দেহ করছে এবং তাঁকে ধরতে ম্যানহান্ট চলছে। বোল্টার একজন সাবেক রাজনৈতিক নিযুক্ত কর্মকর্তা এবং এক সময় স্টেট ওয়ার্কফোর্স ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সদস্য ছিলেন, যেখানে জন হফম্যানও সদস্য ছিলেন।

তবে পুলিশ এখনো জানাতে পারেনি, তাঁদের মধ্যে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল কিনা। বোল্টারের গাড়ি থেকে একটি ম্যানিফেস্টো (ঘোষণাপত্র) এবং টার্গেট লিস্ট পাওয়া গেছে, যেখানে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম ছিল। মিনেসোটার ডেমোক্রেট সেনেটর টিনা স্মিথের নামও তালিকায় ছিল।

স্থানীয় পত্রিকা মিনেসোটা স্টার ট্রিবিউন জানায়, হামলার আগে বোল্টার তাঁর বন্ধুবান্ধবদের একটি মেসেজ পাঠিয়ে বলেন:

"আমি কিছুদিনের জন্য চলে যাচ্ছি। হয়তো আর ফিরে আসবো না। তাই তোমাদের দুজনকে বলছি, আমি তোমাদের ভালোবাসি। ইচ্ছা ছিল এমনটা না হতো।"

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, "এ ধরনের ভয়াবহ সহিংসতা কখনো সহ্য করা হবে না।"

মিনেসোটার ডেমোক্রেটিক সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার বলেন, "এই হামলা আমাদের গণতন্ত্রের সকল নীতির ওপর আঘাত।"

গভর্নর টিম ওয়াল্‌জ বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মিনেসোটায় ট্রাম্প-বিরোধী প্রতিবাদ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গত বছর ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর দুটি হত্যাচেষ্টা এবং চলতি বছর পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরোর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

এ হামলার ঘটনায় মিনেসোটার রাজনীতি, নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। এখন সবার নজর এই হামলার পেছনের উদ্দেশ্য ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দিকে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত