বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
মার্কিন নাগরিক মুক্ত করতে এল সালভাদর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার বন্দি বিনিময় চুক্তি
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
এল সালভাদর ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দি বিনিময়ের চুক্তি করেছে। এই চুক্তির আওতায় এল সালভাদর ২৫০ জন ভেনেজুয়েলান বন্দিকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দিয়েছে। এর বিনিময়ে ভেনেজুয়েলা মুক্তি দিয়েছে ১০ জন মার্কিন নাগরিককে, যাদের মধ্যে একজন সাবেক নেভি সিল সদস্য উইলবার্ট কাস্তানেদা।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানান, দেশে আটক থাকা যেসব ভেনেজুয়েলান 'ট্রেন দে আরাগুয়া' নামের অপরাধী গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে সন্দেহভাজন ছিলেন, তাদের সবাইকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই বিনিময়টি “বহু সংখ্যক ভেনেজুয়েলান রাজনৈতিক বন্দি” ও মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির জন্য করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও এই চুক্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং বুকেলেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ভেনেজুয়েলায় ফিরে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে আছেন অস্কার গঞ্জালেস পিনেদা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে টাইল বসানোর কাজ করতেন। তার মা বলছেন, তিনি কখনও অপরাধী ছিলেন না এবং তার বিরুদ্ধে আনা গ্যাং সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মিথ্যা।
এই ভেনেজুয়েলানদের অনেকেই মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে “Alien Enemies Act, 1798” আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরে পাঠানো হয়েছিল। এরপর তারা বন্দি ছিলেন এল সালভাদরের berüchtigte ‘Cecot’ নামের কুখ্যাত কারাগারে।
মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, পুরো বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত জটিল এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনিশ্চয়তা ছিল। তবে শেষপর্যন্ত সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
চুক্তির মাধ্যমে ভেনেজুয়েলা থেকে সব মার্কিন নাগরিক মুক্ত হয়েছে, বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে, বুকেলে ও ট্রাম্পের সম্পর্ক সম্প্রতি অনেক ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এল সালভাদর মার্কিন অভিবাসীদের আটক রেখে "সহযোগিতা" করেছে। এই বন্দি বিনিময় চুক্তি সেই বন্ধুত্বেরই ফলাফল।
বুকেলে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যদি ২৫২ জন ভেনেজুয়েলানকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তবে বিনিময়ে ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক। যদিও তখন মাদুরো সরাসরি সেই প্রস্তাব মানেননি, তবে এই চুক্তির মাধ্যমে আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে।
এই চুক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভেনেজুয়েলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্পর্ক নেই, জানিয়েছে প্রশাসন।
এলএবাংলাটাইমস/ও এম
শেয়ার করুন