আনাহাইমে কার ওয়াশ ও হোম ডিপোতে অভিবাসন অভিযান, আটক একাধিক ব্যক্তি
সাবেক স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্তৃপক্ষ
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
সাবেক মার্কিন স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্তৃপক্ষ। স্মিথ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফেডারেল ফৌজদারি মামলার তদন্ত করেছিলেন, যার মধ্যে একটি ছিল গোপন নথি সংক্রান্ত এবং অন্যটি ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন, যদিও ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। তবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বিচার বিভাগ সংবিধান অনুযায়ী এসব মামলা বন্ধ করে দেয়, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চালানো নিষিদ্ধ।
বর্তমানে যে তদন্ত চলছে, তা পরিচালনা করছে স্পেশাল কাউন্সেল অফিস (OSC), যারা নিশ্চিত করেছে যে স্মিথের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, স্মিথ হ্যাচ অ্যাক্ট লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যেটি সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আর্কানসাসের রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন অভিযোগ করেন, স্মিথ ২০২৪ সালের নির্বাচনে “অভূতপূর্ব রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ” করেছেন এবং তার কার্যক্রম “অবৈধ নির্বাচনী প্রচার” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কটনের এই দাবির প্রেক্ষিতেই OSC তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, OSC একটি স্বাধীন ফেডারেল সংস্থা, যা ফেডারেল সিভিল সার্ভিস সদস্যদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ বা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে থাকে। তবে তাদের ফৌজদারি অভিযোগ গঠনের ক্ষমতা নেই। তারা কেবল প্রশাসনিক শাস্তি দিতে পারে বা তদন্তের ফলাফল বিচার বিভাগের কাছে পাঠাতে পারে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন OSC-এর সাবেক প্রধান হ্যাম্পটন ডেলিঞ্জারকে বরখাস্ত করে, যিনি ট্রাম্প প্রশাসনের বরখাস্ত করা প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মীদের পুনর্বহালের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। ডেলিঞ্জারের বরখাস্তকে একটি আদালত অবৈধ বললেও তাকে প্রতিস্থাপন করার অনুমতি দেয় ফেডারেল সার্কিট কোর্ট, যার পর তিনি মামলাটি বাতিল করেন।
এই ঘটনার পাশাপাশি, সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি ও সিআইএ পরিচালক জন ব্রেনানের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে—তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচক ছিলেন। কোমির বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে 'হিংসা উসকে দেওয়ার' অভিযোগ উঠেছে, যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। ব্রেনানও এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন, এইসব তদন্ত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক অপব্যবহারের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। জ্যাক স্মিথের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত সেই ধারারই সাম্প্রতিক সংযোজন, যা যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও রাজনীতির জটিল সম্পর্ককে আবারও সামনে এনেছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন