আনাহাইমে কার ওয়াশ ও হোম ডিপোতে অভিবাসন অভিযান, আটক একাধিক ব্যক্তি
ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের মোতায়েন, মেয়রের অভিযোগ ‘স্বৈরাচারী চাপ’
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের সৈন্য মোতায়েন শুরু হয়েছে। সোমবার তিনি শহরের পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে দাবি করেন, সহিংস অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন রাজধানীর বিভিন্ন নগর কেন্দ্র ও পর্যটন স্থানে সাঁজোয়া যান দেখা যায়। কর্মকর্তারা জানান, মোট ৮০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং ৫০০ ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা হবে।
ডেমোক্র্যাট মেয়র মুরিয়েল বাউসার বলেছেন, তার শহরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয় এবং এই সৈন্য মোতায়েন “স্বৈরাচারী চাপ”। ট্রাম্প আরও বলেছেন, নিউইয়র্ক ও শিকাগোতেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে—যা দুইটিই ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত শহর।
সোমবারের ঘোষণার পর থেকে ক্যামোফ্লাজ পোশাক পরা সৈন্যরা শহরে ঢুকতে শুরু করেছে। তাদেরকে সরকারি ভবনের বাইরে ব্যারিকেড বসাতে ও পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, সোমবার রাতে ফেডারেল এজেন্টরা ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যা, অস্ত্র অপরাধ, মাদক পাচার, অসভ্য আচরণ, অনুসরণ, বেপরোয়া গাড়ি চালানোসহ অন্যান্য অপরাধ। তিনি বলেন, “এটি কেবল শুরু। আগামী এক মাসে আমরা প্রতিটি সহিংস অপরাধীকে গ্রেপ্তার করব যারা আইন ভঙ্গ করে এবং জননিরাপত্তা বিপন্ন করে।”
এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি ঘটনায় এফবিআই যুক্ত ছিল। মেয়র ও পুলিশ প্রধান দুজনেই ফেডারেল বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মেয়র বাউসার বলেন, “আমরা চাই এই অতিরিক্ত ফেডারেল বাহিনীকে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাতে।” পুলিশ প্রধান পামেলা স্মিথ বলেন, “আমাদের রাস্তা থেকে অবৈধ অস্ত্র সরাতেই হবে, আর এই বাড়তি উপস্থিতি আমাদের শহরকে আরও নিরাপদ করবে।”
তবে একই দিন রাতে এক টাউন হলে মেয়র বাউসার ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বাসিন্দাদের আহ্বান জানান শহরের স্বায়ত্তশাসন ও হোম রুল রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে এবং কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে।
এদিকে সোমবার রাতে লোগান সার্কেলে এক বন্দুকধারীর গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যা হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র এক মাইল দূরে। এটি চলতি বছরের ১০০তম হত্যাকাণ্ড। সন্দেহভাজনকে কালো শার্ট পরা ও হাতে রাইফেল নিয়ে দেখা গেছে। ঘটনার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সিক্রেট সার্ভিস হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
ডিসি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সহিংস অপরাধ ২০২৩ সালে সর্বোচ্চে পৌঁছায়, তবে গত বছর ৩৫% কমে গত তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্নে নামে। যদিও ডিসি পুলিশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গ্রেগ পেম্বারটন অভিযোগ করেছেন, অপরাধের হার কম দেখাতে তথ্য গোপন বা বিকৃত করা হয়েছে। এফবিআই-এর পরিসংখ্যানও অপরাধ কমার ইঙ্গিত দিলেও তা মাত্র ৯% হ্রাসের কথা জানায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় ওয়াশিংটন ডিসির হত্যার হার এখনও বেশি।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন