আনাহাইমে কার ওয়াশ ও হোম ডিপোতে অভিবাসন অভিযান, আটক একাধিক ব্যক্তি
আলাস্কায় হিমবাহ গলে রেকর্ড বন্যার আশঙ্কা, বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
মেনডেনহল হিমবাহের গলিত পানি বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে আসতে শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী জুনো শহরে রেকর্ড বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং কিছু বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হচ্ছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের (এনডব্লিউএস) জুনো অফিস মেনডেনহল নদীতে হিমবাহ থেকে বের হওয়া পানি প্রবাহের কারণে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে, যা পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের সতর্ক করছিল যে তাদের সরিয়ে নেওয়া লাগতে পারে। মঙ্গলবার নিশ্চিত করা হয় যে বরফ বাঁধ ভেঙে পানি বের হতে শুরু করেছে এবং আগামী দিনে আরও বন্যা দেখা দিতে পারে।
জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র মেনডেনহল হিমবাহ জুনো শহর থেকে প্রায় ১২ মাইল (১৯ কিমি) দূরে অবস্থিত। এনডব্লিউএস জানিয়েছে, মঙ্গলবার পানির উচ্চতা ছিল ৯.৮৫ ফুট (প্রায় ৩ মিটার), যা বড় ধরনের বন্যার সীমা ১৪ ফুটের নিচে। কিন্তু বুধবার সকালে পানি বেড়ে ১৬ ফুট ছাড়িয়ে যায়, যা শীর্ষসীমা বা ‘ক্রেস্ট’ হিসেবে বিবেচিত হয়। “আমাদের কাছে থাকা সব তথ্য অনুযায়ী এটি একটি নতুন রেকর্ড হবে,” এক সংবাদ সম্মেলনে জানান এনডব্লিউএসের আবহাওয়াবিদ নিকোল ফেরিন।
জুনো সিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ঘটে যখন তুষার, বরফ ও বৃষ্টির গলিত পানি জমে থাকা হ্রদ হঠাৎ দ্রুত নিষ্কাশিত হয়। এটি এক পূর্ণ বাথটাবের পানি খালি করার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। পানি একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছালে, হিমবাহের প্রাকৃতিক বাঁধ উপচে যেতে পারে।
আলাস্কার গভর্নর মাইক ডানলিভি গত রোববার জুনো এলাকায় “হিমবাহ হ্রদের পানি হঠাৎ প্রবাহিত হয়ে বিপর্যয়কর বন্যার আসন্ন হুমকি”র কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ২০১১ সাল থেকে এ এলাকায় প্রতিবছরই বন্যার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে, যেখানে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত ও ভেসে গেছে। গত বছর শত শত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পর্বত হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে। অতিরিক্ত গলিত পানি জমে গ্লেসিয়াল লেক তৈরি হয়, এবং ১৯৯০ সাল থেকে এসব হ্রদের সংখ্যা ও আয়তন ক্রমেই বাড়ছে। বরফ ও পাথরের প্রাকৃতিক বাঁধ যেগুলো হ্রদ ধরে রাখে, সেগুলো হঠাৎ এবং অনিয়মিতভাবে ভেঙে গিয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করতে পারে। গবেষকদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের হঠাৎ বন্যার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন