চশমার দোকান থেকে ২৬.৮ মিলিয়ন ডলারের মালামাল চুরির অভিযোগে ৬ জন গ্রেফতার
মস্কো কঠোর অবস্থানে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে মাথা নত নয়
মস্কো কখনোই মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো রুশ অর্থনীতিতে ‘কিছু ক্ষতি’ বয়ে আনতে পারে। গত বুধবার রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওইল এবং তাদের প্রায় তিন ডজন সহপ্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতিকে দুর্বল করা এবং ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে আলোচনার টেবিলে ফেরানো। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাম্প্রতিক পদক্ষেপের সঙ্গে এই উদ্যোগটি সমন্বিতভাবে নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর বৈশ্বিক তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে রুশ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইইউ। পাশাপাশি চীনের দুটি বৃহৎ পরিশোধনাগারকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জোটটি। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার প্রধান দুই ক্রেতা– চীন ও ভারত রুশ তেল আমদানি সীমিত করতে শুরু করেছে। ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, তারা রুশ তেল আমদানিতে ‘পুনঃসমন্বয়’ করছে, আর চীনের কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়াতে সাময়িকভাবে রুশ তেল কেনা বন্ধ রেখেছে।
এরই মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের একটি ড্রোন মস্কোর উপকণ্ঠ ক্রাসনোগর্স্কে আবাসিক ভবনে আঘাত হানে। এতে এক শিশুসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা বৃহস্পতিবার রাতে ১১১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, রুশ গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের খেরসন শহরে দুজন নিহত ও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। উভয় নেতা ইউরোপীয় ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদারের আহ্বান জানান।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
নিউজ ডেক্স
শেয়ার করুন