দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নিখোঁজ ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে খুঁজছে পরিবার
ই. জিন ক্যারল মামলার রায় বাতিল করতে সুপ্রিম কোর্টে গেছেন প্রেসিডেন্ট
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখিকা ই. জিন ক্যারলকে যৌন নিপীড়ন ও মানহানির অভিযোগে দায়ী করে দেওয়া ৫ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন পাউন্ড) রায় বাতিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন যে, মামলার তত্ত্বাবধায়ক বিচারক লুইস ক্যাপলান জুরিদের সামনে এমন কিছু প্রমাণ উপস্থাপন করতে দিয়েছিলেন যা তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছিল।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত রায় বহাল রেখে জানায়, বিচারক ক্যাপলান এমন কোনো ভুল করেননি যা নতুন বিচার আয়োজনের প্রয়োজন তৈরি করে।
নিউইয়র্কের একটি জুরি ই. জিন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে, কারণ ট্রাম্প ১৯৯০-এর দশকে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন এবং পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটিকে “ভুয়া” বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এখন সুপ্রিম কোর্টই ট্রাম্পের শেষ আশা এই মামলার রায় বাতিলের ক্ষেত্রে। তবে আদালত মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
গত জুনে ফেডারেল আপিল আদালত ট্রাম্পের পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ করেছিল।
এ ছাড়া, এই মামলার জুরিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের কারণে আরেকটি জুরি তাঁকে ৮৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়। সেপ্টেম্বরে ফেডারেল বিচারকদের একটি প্যানেল সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর ট্রাম্প পূর্ণ বেঞ্চের সামনে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা আবেদনে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন যে, বিচারক ক্যাপলান ২০০৫ সালের অ্যাক্সেস হলিউড টেপ জুরিদের দেখানোর অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল না। সেই ভিডিওতে ট্রাম্পকে নারীদের প্রতি অনুপযুক্ত মন্তব্য করতে শোনা যায়।
তাঁদের আবেদনে বলা হয়, “এই অভিযোগে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, ভিডিও প্রমাণ, বা পুলিশি তদন্ত ছিল না। বরং ই. জিন ক্যারল দুই দশকেরও বেশি সময় অপেক্ষা করে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও নিজের আর্থিক লাভের জন্য।”
ই. জিন ক্যারলের আইনজীবী রবার্টা ক্যাপলান বিবিসিকে জানান, সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের এই আবেদন নিয়ে তাঁর কোনো মন্তব্য নেই।
উল্লেখ্য, আদালত ট্রাম্পকে ক্যারলের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও মানহানির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করলেও, নিউইয়র্কের দণ্ডবিধি অনুযায়ী ‘ধর্ষণ’-এর অভিযোগে তাঁকে মুক্তি দেয়।
৮১ বছর বয়সী সাবেক ম্যাগাজিন কলামনিস্ট ই. জিন ক্যারল অভিযোগ করেছিলেন, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের পোশাক পরিবর্তন কক্ষে ট্রাম্প তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন। ২০২২ সালে ট্রাম্প তাঁর ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে পোস্ট দিয়ে এ অভিযোগ অস্বীকার করলে তিনি মানহানির মামলা দায়ের করেন।
ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, “সে আমার ধরণের নারী নয়” এবং দাবি করেন, ক্যারল “মিথ্যা বলছেন।”
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার করুন