সরকারি শাটডাউনের সময় কাজ করা কিছু টিএসএ এজেন্টকে দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার ডলারের বোনাস
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৩ দিনব্যাপী সরকারি শাটডাউনের সময় দায়িত্ব পালন করা কিছু ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) এজেন্টকে ১০ হাজার ডলার বোনাস দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এ ঘোষণা দেন।
নোয়েম জানান, যারা ‘উদাহরণযোগ্য সেবা’ দিয়েছেন, তারা ১০ হাজার ডলারের বোনাস চেক পাবেন। পাশাপাশি শাটডাউনের সময় কাজ করার জন্য যা বকেয়া ছিল, তাও দেওয়া হবে—যাতে তারা নিজেদের আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। টেক্সাসের হিউস্টন শহরের একটি বিমানবন্দরে তিনি কয়েকজন এজেন্টকে এসব বোনাস চেক হাতে তুলে দেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও শাটডাউনের সময় অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি না নেওয়া এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের একই ধরনের বোনাস দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তবে ঠিক কতজন টিএসএ এজেন্ট এই বোনাস পাবেন এবং কোন মানদণ্ডে বোনাস বিতরণ করা হবে—তা এখনও পরিষ্কার নয়।
হিউস্টনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল এয়ারপোর্টে এক অনুষ্ঠানে নোয়েম প্রায় দুই ডজন এজেন্টকে হাতে খাম তুলে দেন এবং তাদের সেবার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, টিএসএ–এর বিভিন্ন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীরা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের দায়িত্ব পালন, অতিরিক্ত শিফটে কাজ করা এবং প্রতিদিন হাজির হয়ে মানুষের ভ্রমণ নিরাপদ রাখার জন্য এই পুরস্কারের যোগ্য।
নোয়েম জানান, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) শাটডাউনের সময় দায়িত্ব পালন করা প্রতিটি কর্মচারীকে মূল্যায়ন করবে এবং যারা অসাধারণ সেবা দিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করবে।
শাটডাউনের সময় প্রশাসনিক কর্মী থেকে শুরু করে নিরাপত্তা গেটের সামনের সারির হাজার হাজার কর্মী অতিরিক্ত শিফট নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডিএইচএস জানিয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরের অতিরিক্ত সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহার করে এই বোনাস দেওয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি চুক্তি ও খরচ কমানোর ফলেও এ অর্থ জোগাড় সম্ভব হয়েছে।
১ অক্টোবর কংগ্রেসে অর্থায়ন জটিলতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন শুরু হয়, যা দেশের বিমান ভ্রমণে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটায়। কর্মী সংকটের কারণে গত সপ্তাহে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) অনেক ফ্লাইট সীমিত করে দেয়। অনেক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার অসুস্থতার নোটিশ দেন বা জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য কাজে যোগ দেন।
শাটডাউনের সময় এজেন্টরা বেতন ছাড়াই অতিরিক্ত শিফট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দায়িত্ব পালন করেছেন। নোয়েম বলেন, তারা ছিলেন ‘সহকর্মীদের জন্য উদাহরণ’, যারা কঠিন পরিস্থিতিতেও দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার করুন