মার্কিন ভিসামুক্ত দেশগুলোর পর্যটকদের পাঁচ বছরের সোশ্যাল মিডিয়া ইতিহাস জমা দেওয়ার প্রস্তাব
কেন্টাকি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত, সন্দেহভাজন আটক
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
কেন্টাকি স্টেট ইউনিভার্সিটি (KSU) ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার দুপুরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং আরেকজন গুরুতর হলেও স্থিতিশীল অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। ফ্রাঙ্কফোর্ট পুলিশ বিভাগ জানায়, এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত একটি রেসিডেন্স হলের ভেতর ঘটে। ঘটনার পরপরই KSU ক্যাম্পাসকে লকডাউন ঘোষণা করা হয় এবং পরিস্থিতিকে “অ্যাকটিভ অ্যাগ্রেসর” বা সক্রিয় হামলাকারীর ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করে দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হচ্ছে এবং গণহামলার (mass shooting) কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি সর্বপ্রথম জনসমক্ষে আনেন কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X-এ লিখেন, সহিংসতার কোনো স্থান রাজ্য বা দেশে নেই এবং নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
ফ্রাঙ্কফোর্ট পুলিশ বিভাগের সহকারী প্রধান স্কট ট্রেসি সন্ধ্যার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্যাম্পাস পুলিশের “দ্রুত ও সাহসী পদক্ষেপে” সন্দেহভাজনকে ঘটনাস্থলেই আটক করা সম্ভব হয়, যা আরও বড় ক্ষয়ক্ষতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করেছে। তিনি জানান, স্থানীয়, অঙ্গরাজ্য এবং ফেডারেল সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে নিহত বা আহতদের পরিচয় বা বিস্তারিত চিকিৎসা তথ্য এখনই প্রকাশ করা হবে না। আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পর KSU কর্তৃপক্ষ সপ্তাহের বাকি সব ক্লাস, ফাইনাল পরীক্ষা এবং ক্যাম্পাস কার্যক্রম স্থগিত করেছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাইলে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। KSU প্রেসিডেন্ট কোফি সি. আকাকপো ঘটনাটিকে “অর্থহীন এবং মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একজন অভিভাবক হিসেবে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মীদের জন্য কাউন্সেলিং ও মানসিক সহায়তা সেবা চালু করা হয়েছে।
প্রায় ১,০০০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত কেন্টাকি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ২,২০০-এর বেশি শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৪৫০ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। গুলিবর্ষণের এই ঘটনার কারণ ও বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার করুন