সিডনিতে হনুক্কা অনুষ্ঠানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ১৬; দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দুই বছর পূর্তি
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই বছর পূর্ণ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ উপলক্ষ্যে তিনি একটি দৈনিক পত্রিকা নিবন্ধ লিখেছেন। নিবন্ধটি গতকাল মার্কিন দূতাবাস প্রকাশও করেছে। পিটার হাস লিখেছেন, বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনা রয়েছে, তবে দেশটির উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জও আছে। নিবন্ধে পিটার হাস যা লিখেছেন তা হুবহু প্রকাশ করা হলো।
‘আমার দেশের ষোড়শ রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন একবার বলেছিলেন, ভবিষ্যতের সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল, এটা একদিন একদিন করে আসে।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তৃতীয় বছর শুরুর সময়ে, এই কথাগুলোকে আমার সত্যি বলে মনে হয়। প্রতিদিন এই দেশের সম্ভাবনা, জনগণের শক্তি ও সহনশীলতা এবং এর প্রাণবন্ত সুশীল সমাজ আমাকে মুগ্ধ করে। যেমনটা আমি গত বছর বলেছিলাম, বাংলাদেশ তার জন্মলগ্ন থেকে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকালে এমন এক ভবিষ্যত্ যা একদিন একদিন করে এগিয়ে আসে, আমি এই দেশের সামনে সম্ভাবনা দেখতে পাই, তবে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জও চোখে পড়ে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদীয় নির্বাচনের আগে, যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছিল, যা বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করবে। কিন্তু তা ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশ ও সর্বত্র গণতন্ত্রের বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে। সহজ করে বলতে গেলে, আমরা বিশ্বাস করি দেশের মানুষের কল্যাণে, গণতন্ত্র হল স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সর্বোত্তম উপায়।
আমরা সাহসী সুশীল সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব। যেসব গণমাধ্যমকর্মীরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিয়মতান্ত্রিক দমন ও হয়রানির শিকার হন, তা অবসানের আহ্বান আমরা অব্যাহত রাখব। আমরা চাপ অব্যাহত রাখব, যাতে বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতা বজায় থাকে এবং আমরা আরো উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানানো অব্যাহত রাখব। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন লক্ষ্য রয়েছে এমন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করব। এই বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ যে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ঠিক একই গতিতে এগিয়ে যেতে চায়। আমি এরমধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা শুরু করেছি, যেখানে আমরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে পারি।
উদাহরণস্বরূপ সামাজিক ও পরিবেশগত আন্তঃসংযুক্ত বিষয়গুলোর কথা বলা যায়, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার টিম এবং আমি জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন শক্তিতে রূপান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তন সবাইকে প্রভাবিত করে, আমেরিকান এবং বাংলাদেশি সবাইকেই। এবং আমি আশা করি, আমাদের যে চমত্কার সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের জনগণ ১০ কোটিরও বেশি কোভিড টিকা পেয়েছেন তা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
নিউজ ডেক্স
শেয়ার করুন