দিনমজুরকে পিটিয়ে আটকে রাখলেন সাবেক চেয়ারম্যান!
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার মঠখোলা গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়াকে (৩০) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. করম আলী ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে।
কেবল পিটিয়েই ক্ষান্ত হয়নি প্রহারকারীরা। বাদল মিয়াকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে প্রায় ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেও রেখেছে। পরে পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বাদল মিয়াকে উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আক্রান্ত বাদল ও তার পরিবার সূত্র অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাদল মিয়াকে তাদের মঠখোলার বাড়ি থেকে ডেকে নেয় চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা। পরে তাকে চেয়ারম্যানের বাড়িতেই আটকে রেখে মারধর করা হয়। আহত হলেও তাকে চিকিৎসা না করিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
দীর্ঘ প্রায় ১০ ঘণ্টা আটকে রাখার পর বাদল মিয়ার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি বাজিতপুর থানার পুলিশকে জানায়।
পরে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে। মারধরে আহত বাদল মিয়া বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মারধরের বেশ কিছু ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে রড ও লোহার পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়ে।
সাবেক চেয়ারম্যান করম আলী ও তাঁর চ্যালাদের এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এলাকাবাসী প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাদল মিয়া পেশায় একজন শ্রমিক। এলাকার বিত্তবান মানুষের বাড়িতে কিংবা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন। কাজ করতে গিয়েই তিনি করম আলীর রোষানলে পড়েন। বাদলের সঙ্গে করম আলীর পুরনো বিরোধের জের ধরেই এ সন্ত্রাসী ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করছেন আহতের বড় ভাই আলাল মিয়া।
তিনি চেয়ারম্যান করম আলীসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে বাজিতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- হৃদয় মিয়া (২৮), শফিকুল ইসলাম (২৫), ইমন মিয়া (২৬), মাখন মিয়া (২২), কালু মিয়া (৩৫) ও খাইরুল ইসলাম (২৫)।
হিলচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. করম আলীকে একাধিবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মোর্শেদ জামানকে কল দিলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বিট অফিসার (হিলচিয়া) এসআই আজহারুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং মারধরের শিকার ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন