আদালতে তনি, প্রতিবাদ জানালেন আব্দুল জব্বার মন্ডল
প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় এবং এদিন রাতেই ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার মন্ডল স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়।
আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে। তনি যে অভিযোগ এনে আদালতে গেছেন এবং সে ব্যাপারে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক, হতাশাব্যঞ্জক ও দুরভিসন্ধিমূলক।
ভোক্তা অধিকার রক্ষা এবং অধিদপ্তরের গণমুখী কার্যক্রম জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক প্রচারের জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকাকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। এ অধিদপ্তর সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য সংবলিত নেতিবাচক প্রতিবেদন কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ আলোচিত মুখ রুবাইয়াত ফাতেমা তনি, যিনি পরিচিত ‘সানভিস বাই তনি’ নামে। রাজধানীতে পোশাক ও কসমেটিক্সের কয়েকটি শোরুম আছে তার। এছাড়া অনলাইনে ড্রেস বিক্রি করেন তিনি। প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি গুলশান পুলিশ প্লাজায় অভিযান চালিয়ে তার একটি শোরুম বন্ধ করে দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযোগ ছিল, সানভিস বাই তনি অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখালেও ডেলিভারি দিতো কমদামি দেশি ড্রেস। পাকিস্তান থেকে পোশাক আনার কোনো কাগজপত্রও তারা ভোক্তা অধিকারকে দেখাতে পারেনি। এজন্য বড় অঙ্কের জরিমানাও করা হয়।
তবে এবার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বিরুদ্ধেই হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে করেছেন হাইকোর্টে রিট করেছেন রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, মনগড়া তদন্ত ও বানোয়াট অভিযোগের মাধ্যমে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার পায়তারা করা হচ্ছে। এছাড়া তার অফিস ও অন্যান্য শো-রুমে পুলিশ নিয়ে হানা দিচ্ছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল।
যদিও এটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার মন্ডল। তিনি জানিয়েছেন, গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ মে রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় সানবিস বাই তনির প্রধান শোরুমে অভিযান চালান তারা। ওইদিন তনির শোরুম সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং অভিযোগের শুনানির জন্য পরের দিন তনিকে অধিদপ্তরে হাজির হতে বলা হয়। ১৩ মে তনি অধিদপ্তরে গেলে শুনানি করে তাকে দুই দফায় ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার তনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তনির অভিযোগ, তিনি নিয়ম মেনে জরিমানার টাকা দিলে বন্ধ শোরুম খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা। শুনানি করে জরিমানা আদায়ের পরও শোরুম খুলে না দেওয়ায় প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে গেছেন বলে জানান তনি।
তবে এ বিষয়ে আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেছেন, আইন মেনেই সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। এ নিয়ে এখন কিছু বলা যাবে না। তদন্ত শেষ হলে জানানো হবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন