গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
অনলাইন এক্টিভিস্ট, জবি শিক্ষার্থী বিয়ানীবাজারের নাজিম ঢাকায় খুন
ঢাকায় খুন হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র অনলাইন এক্টিভিস্ট নাজিম উদ্দিন (২৬)। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর মাথায় গুলি করে তাকে খুন করেছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে সূত্রাপুরস্থ একরামপুর মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্ত ও মাথার মগজ পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত নাজিমউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের (এলএলএম) ‘বি’ সেকশনের একজন ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের মাটিজুরা গ্রামে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, মোটরসাইকেলে ৩-৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে প্রথমে তাকে ধারালো অস্ত্র দিকে কুপানোর পর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুলির সঙ্গে সঙ্গে নাজিমউদ্দিনের মাথার খুলির অংশটি মাটিতে ছিটকে পড়ে এবং নিথর দেহটি পাশেই লুটিয়ে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের গুলির একটি খোসা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সূত্রাপুর থানার ওসি তপন কুমার সাহা জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নাজিম উদ্দিন সামাদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা তদন্তে দুইটি বিষয়কে সামনে রেখে এগুচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, নাজিম উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি সিলেটের কোনো দ্বন্দ্ব নাকি ব্লগে লেখালেখির কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে; এ দু’টি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পূর্ব) এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।
তবে তদন্তে এসব বিষয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক , পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বলেন, দুই মাস আগে সিলেট থেকে ঢাকায় আসে নাজিম উদ্দিন। গেন্ডারিয়ার একটি ম্যাচে বন্ধুদের সঙ্গে থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে সান্ধ্যকালীন এলএলএমে কোর্সে পড়াশোনা করতেন।
তিনি বলেন, সিলেটের কোনো দ্বন্দ্বে নাকি অন্য কোনো কারণে এ হত্যা তা তদন্ত করে দেখছি। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মোবাইলের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ওই কর্মকর্তা জানান, সোহেল এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। আমরা তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছি। তিনি হামলাকারীদের কাউকে চিনতে পেরেছেন কিনা জানার চেষ্টা করছি।
এদিকে, নাজিমুদ্দিন সামাদের ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, তিনি নিজেকে সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক হিসেবেও কাজ করেছিলেন এবং ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করতেন বলে তার ফেসবুক বন্ধুরা জানিয়েছেন।
News Desk
শেয়ার করুন