গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
এমন ওপেনিং দেখা যায়নি অনেকদিন: তবু বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ২৯৯-এ আটকে যায়
সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রেকর্ড গড়া ১৭৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। এমন দুর্দান্ত শুরুর পরও স্কোরবোর্ডে তিনশো রান যোগ করতে পারেনি। সৌম্য-সাইফের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রানের পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
আজ বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এ দিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন সাইফ-সৌম্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের পাত্তা না দিয়ে শতরানের জুটি গড়েন তারা। এতে ১০ বছর পর ওয়ানডেতে ১০০ রানের ওপেনিং জুটি দেখে মিরপুর।
সব দল মিলিয়ে ২০১৫ সালে ১১ নভেম্বরের পর মিরপুরে ওয়ানডেতে এটাই সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার সৌম্য ও সাইফ দুজনেই পেয়েছেন ফিফটি। ৪৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নিজেদের প্রথম ফিফটির দেখা পান সাইফ। অন্যদিকে ৪৮ বলে ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি তুলে নেন সৌম্য।
দলীয় ১৭৬ রানে জুটি ভাঙে। ৭২ বলে ৮০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাইফ। তার বিদায়ের পর পরই আউট হন সৌম্য। এতে ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ৮৬ বলে ৯১ রান করে ফিরে যান সৌম্য।
সাইফ–সৌম্যর ১৭৬ ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিম-লিটনের ২৯২ রানের জুটি এখনও শীর্ষে। সাইফ-সৌম্যের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
মাঝে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয় হাল ধরার চেষ্টা করেন। ৬ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। শান্ত ৪৪ ও হৃদয় করেন ২৮ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আকিল হোসেন নেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন