গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
বায়োমেট্রিকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুলের রায় মঙ্গলবার
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন নিয়ে রুলের রায়ের দিন আগামী মঙ্গলবার ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার রুল শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৪ মার্চ রুলটি জারি করেন একই বেঞ্চ। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিহউজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মুক্তাদির রহমান।
গত ০৯ মার্চ রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী এসএম এনামুল হক।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক (ডিজি), প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), জাতীয় পরিচয়পত্র উইংয়ের মহাপরিচালক (ডিজি), স্বরাষ্ট্র, আইন, ডাক তার ও টেলিযোগাযোগ সচিব, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল ও টেলিটক কর্তৃপক্ষকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
মুক্তাদির রহমান বলেন, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিটিআরসি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য ৬টি মোবাইল কোম্পানির প্রতি সার্কুলার জারি করে। মোবাইল কোম্পানিকে দিয়ে এটা বিটিআরসি করতে পারে না।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনসাধারণের নৈতিকতা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের- (ক) প্রবেশ, তল্লাশী ও আটক হইতে স্বীয় গৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার থাকিবে; এবং (খ) চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকিবে’। এছাড়া টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ এর ৩১ ধারার মধ্যে এটা পড়ে না। তাই সংবিধান ও এ আইন মতে এটা বেআইনি।
তিনি আরও বলেন, বিটিআরসি মাত্র ২.৯৮ শতাংশ সিম নিয়ন্ত্রণ করে। বাকি ৯৭.০২ শতাংশ বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করেন। সুতরাং, এখানে আমাদের নিরাপত্তা কী? আমরা বিদেশি বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ দিয়েছি। যেখানে আঙ্গুলের ছাপ অবৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
গত ০১ জানুয়ারি থেকে যেকোনো সেলফোন গ্রাহক স্বপ্রণোদিত হয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে পারবেন বলে বিটিআরসি জানায়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের বাইরে থাকা অন্য সব সিমের নিবন্ধন বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
News Desk
শেয়ার করুন