গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
আজ পয়লা বৈশাখ : শুভ নববর্ষ ১৪২৩ বাংলা
বিগত দিনের সব বেদনা আর হতাশা দূর করে নতুন আশা আর প্রাণের বারতা নিয়ে এসেছে নতুন বছর। আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা ১৪২৩ সালের প্রথম দিন।
নতুন বছরের আবাহন সংগীত আর বর্ষবরণের উৎসবে মুখরিত থাকবে বাংলার চারদিক। মাঠে-প্রান্তরে, শহর-নগরে, গ্রাম কিংবা নদীপারে সবাই মিলিত হবে উৎসবে। কোটি প্রাণের চাঞ্চল্য আর উৎসব-মুখরতায় সুর উঠবে বাঁশির, বেজে উঠবে ঢোল-বাদ্য।
প্রতিবারের মতো এবারও দেশেবিদেশে নানা আয়োজনে উদযাপন হচ্ছে নববর্ষের। ভোর থেকে পথে পথে ঢল নামবে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী মানুষের। তাদের পরনে থাকবে লাল-সাদার পাশাপাশি বাহারি রঙের নকশাদার পোশাক।
মেলা বসবে পার্কে কিংবা কোনো খোলা জায়গায়। নানা গ্রামীণ পসরা নিয়ে বসবে দোকানিরা। বাবা কিংবা কাকা-মামার কাঁধে চড়ে শিশুটি কিনবে ঢুগঢুগি কিংবা হাতি-ঘোড়া খেলনা। কিশোরী-তরুণীরা লাল চুড়িতে ভরবে হাত।
বছরের প্রথম দিনটিতে বাসাবাড়িতে তৈরি হবে বাঙালি খাবার- শুঁটকি-বেগুন-ডাল-আলু-কালিজিরাসহ নানা পদের ভর্তা।
তবে ইলিশকে বৈশাখের খাদ্যতালিকায় না রাখতে বিভিন্ন মহল থেকে আছে আহ্বান। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছেন, এদিন তার পাতে থাকবে না ইলিশ। কারণ এ সময়টি ইলিশের প্রজননকাল। ফলে এবার ‘পান্তা-ইলিশ’ অনেকটা নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের পার্বত্য জেলার আদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিবছরের মতো পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
নববর্ষ উপলক্ষে কাল সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় সংবাদপত্রগুলোতে থাকছে বাংলা নববর্ষের বিশেষ দিক তুলে ধরে ক্রোড়পত্র। সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রয়েছে নববর্ষকে ঘিরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা।
বাংলা নবর্বষ ১৪২৩ উপলক্ষে প্রবাসী কমিউনিটিসহ সবাইকে লস এঞ্জলেসেরে জনপ্রিয়
বাংলা নিউজর্পোটাল এলএ বাংলাটাইমসের পক্ষ থেকে আমাদরে সকল লেখক, পাঠক,
শুভাকাঙ্খী, শুভানুধ্যায়ীসহ প্রবাসী কমিউনিটির সবাইকে বৈশাখী শুভচ্ছো ও
প্রাণঢালা অভনিন্দন।
বৈশাখের ইতিহাস
ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরি পঞ্জিকা অনুসারে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সঙ্গে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদের খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হতো। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মোগল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন।
সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরি সনের ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
১৯৭২ সালে বাংলা ১৩৭৯ সন ‘পয়লা বৈশাখ’ বাংলাদেশের জাতীয় পার্বণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
News Desk
শেয়ার করুন