গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
কাটছাট করে বাজেটের আকার ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট ১০ শতাংশ কাটছাট করা হয়েছে। ফলে সংশোধিত বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার রয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে সংশোধিত বাজেটের পরিপত্রও জারি করেছে অর্থমন্ত্রণালয়।
অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল, তা তারা অর্জন করতে পারেনি। এনবিআর অংশের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ ভাগ কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অর্থবছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে না। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা রয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর-এর আওতায় আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। তবে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না বুঝতে পেরে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজেট দিন দিন বড় হবে। উচ্চ আশা না থাকলে সামনে এগুনো যাবে না। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাজেট প্রতি বছরই বড় হবে। আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার চিন্তা করছেন তারা।
তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতার অভাব রয়েছে। এটা পূরণেরও চেষ্টা চলছে। যে কারণে আগের চেয়ে বাস্তবায়নের হার বেড়েছে। তা কাঙ্ক্ষিত হারে বাস্তবায়ন হচ্ছে না, এ দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রীর পরামর্শে চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৪৪ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা বেশি প্রাক্কলন করে বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে। পাশাপাশি আগামী অর্থ বছরের জন্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ওই হিসাবে প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির প্রক্ষেপন করা হয়েছে ৯৭ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। জিডিপি’র অংশ হিসেবে যা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ৫ শতাংশ থাকবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানান, আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। এটি জিডিপির ১২ দশমিক ৮ শতাংশের সমান। এই রাজস্ব আয়ের মধ্যে এনবিআর-এর অংশে থাকবে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্য ধরা হবে ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
সূত্র জানান, নতুন বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের মোট আকার জিডিপির ১৭ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। আগামী বাজেটে এডিপি বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা।
শেয়ার করুন