গাজা যুদ্ধ: ইইউ-এর ভূমিকা প্রকাশ্যে, দায়িত্ববিমুখতার নতুন অজুহাত উঠে আসছে
২০১৮ সালের মধ্যেই পদ্মাসেতুর নির্মাণ শেষ হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র পদ্মাসেতু আটকাতে পারেনি। নিজস্ব অর্থায়নেই আমরা পদ্মাসেতু করছি। ২০১৮ সালের মধ্যেই এই সেতুর নির্মাণ শেষ হবে।’
শুক্রবার পদ্মাসেতু কাজের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মাওয়া প্রান্তে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক পরবর্তীতে এই প্রকল্পে আসতে চেয়েছিল। আমরা তাদের অর্থায়ন নেইনি।’
তবে বিশ্বব্যাংককে ভালো বন্ধু উল্লেখ করে কামাল বলেন, বর্তমানে মোট উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে বৈদেশিক সহায়তার ২৯ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। পদ্মাসেতু সময় মতো নির্মাণ শেষ করতে কোনো ধরনের গাফিলতি যেনো না হয়, এ জন্য তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
পদ্মাসেতু প্রকল্পটিকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এই সেতু চালু হলে জাতি হিসেবে আমরা অনেক উচ্চতায় পৌঁছাবো।
মন্ত্রী বলেন, এ সেতুর নিচ দিয়ে রেল চলবে, এতে যশোরের সাথে ঢাকার দূরত্ব কমবে ১৭২ কিলোমিটার।
সংবাদ সম্মেলনে পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, পদ্মাসেতুর মোট ভৌত কাজের ৩৩ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পৃথকভাবে কাজের হিসাব করলে মূল সেতুর ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
জানানো হয়, নদী শাসন কাজের অগ্রগতি ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, জাজিরা সংযোগ সড়কের ৬৮ দশশিক ৭০ শতাংশ, মাওয়া সংযোগ সড়কের ৭৯ দশমিক ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সার্ভিস এরিয়া-২ এর বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। অন্যদিকে পুনর্বাসনের কাজ প্রায় শতভাগই শেষ হয়েছে বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বহুল আলোচিত বহুমুখী পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৮৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পদ্মা নদীর মাওয়া পয়েন্টে দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ফরিদপুর জেলার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। এ সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপন করবে।
এ ছাড়া পদ্মা সেতু এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে বলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শেয়ার করুন