আপডেট :

        ব্যাংকের ভেতরে অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, করছিলেন বমি

        কোচ হতে চান মাহমুদ উল্লাহ-মুশফিক, জানান আমিনুল

        রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হবে সোমবার

        লস এঞ্জেলেসে গোপন নাইটক্লাবে অভিযান, ৩৬ জন চীনা ও তাইওয়ানি নাগরিক আটক

        ক্যালিফোর্নিয়ার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ফাইনালে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটের জয়

        বাবা-মা হলেন তারকাজুটি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী

        চার বছর ধরে মায়ের ভুল কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, পরিবারের মামলা

        নর্থ হলিউড মেট্রো স্টেশনের বাইরে ছুরিকাঘাত ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৩ জন হাসপাতালে

        ব্যাল্ডউইন পার্কে বন্দুকধারীর গুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত, অপরজন হাসপাতালে

        মমতা বাংলাদেশিদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত খুলে রেখেছেন: অমিত শাহ

        ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিতে হতাশা বাড়ছে

        যুক্তরাজ্যের নাগরিকের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি রপ্তানির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

        শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৮০০০ পাতার অভিযোগ

        ইরানকে পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র

        বিসিআই-এর আয়োজনে রিভারসাইড কাউন্টির পেরিস শহরে বাৎসরিক বৈশাখী মেলা ২০২৫

        পিএসজির ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে প্যারিসে আনন্দের বন্যা

        প্রথমবারের অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নজরুল রক কনসার্ট’

        আজ নয় আগামীকাল নতুন টাকা পাবেন গ্রাহকরা

        সিলেটে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি

        ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব

চাকরিচ্যুত পাঁচজনকে পুনর্বহালের দাবি হাসনাতের

চাকরিচ্যুত পাঁচজনকে পুনর্বহালের দাবি হাসনাতের

সম্প্রতি বেসরকারি সময় টেলিভিশনের যে পাঁচ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, এ ব্যাপারে নিজের ‘দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই’ বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একইসঙ্গে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালেরও দাবি করেছেন তিনি।


শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে এমন দাবি করেন তিনি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে দেওয়া পোস্টে সম্প্রতি ওই পাঁচ সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতিতে তার সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া খবরেরও সমালোচনা করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যাও তুলে ধরেন।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘সময় টেলিভিশনের পাঁচ গণমাধ্যমকর্মীর আকস্মিক চাকরি হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা অসত্য ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য আছে বলে আমার মনে হয় না।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন সময় এবং এখন টিভির কয়েকজন সাংবাদিক আমাদের কিছুটা প্ররোচিত করে গত ১৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার সময় টিভির এমডি মি. হাসানের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এটা যে একটা চক্রান্ত ছিল, তা আমরা তখন বুঝতে পারিনি। আমরা সরল মনে মি. হাসানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা মাত্র ৩০ মিনিট ওনার সঙ্গে আলাপ করে বেরিয়ে এসেছিলাম। অথচ বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আমি ১৮ ডিসেম্বর সেখানে গিয়েছিলাম। এটি থেকে পরিষ্কার যে এ ঘটনার সত্যতা বিবিসি বাংলা ভালোভাবে যাচাই করেনি।’


সময় টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মীর মাধ্যমে সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংক্ষিপ্ত বৈঠকে ৫ আগস্টের পরবর্তী পরিস্থিতিতে সময় টেলিভিশনে চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে আমিসহ উপস্থিত ব্যক্তিরা সঠিক সংবাদ প্রচার করে ফ্যাক্ট ভিত্তিক সাংবাদিকতার আহ্বান জানিয়েছিলাম। প্রোপাগান্ডামূলক সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করেছিলাম।’

হাসনাত লেখেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, সেখানে আমি কোনও সাংবাদিকের তালিকা দিইনি এবং চাকরি থেকে বাদ দেওয়া  সাংবাদিকদের ব্যক্তিগতভাবে চিনিও না। বার্তা সংস্থা এএফপি এবং বিবিসি বাংলার কাছে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, আমি সিটি গ্রুপ এবং সময় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে কোনও সংবাদিকের তালিকা দিয়েছি এবং কাউকে বরখাস্ত করতে চাপ দিয়েছি, সেটির স্বপক্ষে যদি তাদের কাছে কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, সেটি যেন তারা হাজির করেন। যদি হাজির করতে না পারেন, তবে তা যেন স্বীকার করেন।’

‘মি. হাসান অভিযোগ করেছেন’— এটাই এ ধরনের একটি প্রতিবেদনের ‘মূল ভিত্তি’ হতে পারে না বলেও মনে করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এর ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কারণ মি. হাসান যখন আমার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছেন তখন বলছেন, আমি কোনও ছাঁটাইয়ের তালিকা তাকে সরবরাহ করিনি বা এমন কোনও কথা বলিনি। এই বক্তব্যের স্বপক্ষে আমি প্রমাণ দিতে পারবো।’

সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান ‘হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন’ বলেও অভিযোগ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘তিনি (মো. হাসান) দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অসত্য এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, যা তার মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে।’

নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই পুরো ষড়যন্ত্রে আমাকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। চক্রান্তে পড়ে সময় টিভির মালিকের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়াটা আমার ভুল হয়েছে, যা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। আমি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে অবশ্যই যে কোনও গণমাধ্যম আমার বা আমাদের বিরুদ্ধে লিখবে, সেটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে আমরা আন্দোলন করেছি, রক্ত দিয়েছি। দানব হাসিনার পতন ঘটিয়েছি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যে, পেশা হিসেবে সাংবাদিকতার উৎকর্ষ সাধনের জন্যে, সাংবাদিকের চাকরিচ্যুত করার জন্য নয়।’

ফেসবুক পোস্টে চার দফা দাবি তুলে ধরেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তার দাবিগুলো হলো-

১. সময় টেলিভিশনের যে ৫ জন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে- এ ব্যাপারে আমার দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি জোর দাবি জানাই, এই পাঁচ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের।

২. যারা প্রকৃতভাবে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। 

৩.  সিটি গ্রুপের মালিক মি. হাসান অসত্য তথ্য দিয়ে আমার চরিত্রহননের যে ষড়যন্ত্র করছে, তদন্ত স্বাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

৪. বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশের পর মি. হাসান বারবার বিভিন্ন প্রতিবেদককে দিয়ে আমার সঙ্গে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন। যেগুলোর স্বপক্ষে আমার কাছে পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে। আমি তাদের বলেছি, উনি যদি বিবিসিকে এমন বক্তব্য না দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমে প্রতিবাদ পাঠাতে।

সবশেষ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং এই ষড়যন্ত্রের শিকার সকলের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি কখনও কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলাম না এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমি সবসময় গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। ভবিষ্যতেও দাঁড়াবো। এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। মূলত সিটি গ্রুপ এবং সময় টিভির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আমাকে জড়িয়ে তাদের স্বার্থ হাসিলের নোংরা চেষ্টা করা হয়েছে।’

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত