আবদুল হামিদের মুক্তিতে রাষ্ট্রপতির ফোনের অভিযোগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিতর্কিত দেশত্যাগ ঘিরে সারাদেশে চলছে ব্যাপক সমালোচনা, উত্তেজনা আর রাজনৈতিক উত্তাপ। মামলার আসামি হিসেবে বিদেশগমন করা এই সাবেক রাষ্ট্রপতিকে বর্তমান রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে ফোন পেয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ লিখেছেন, আবদুল হামিদকে বিমানবন্দরে আটকানো হলো, তারপর নাকি চুপ্পুর অফিস থেকে ফোনকল পেয়ে ছেড়ে দেওয়া হলো। এরপরও কি ইন্টেরিমকে জুলাই বিপ্লবীরা সাপোর্ট করে যাবে!!! স্যরি, হয় চুপ্পুকে সরান-লীগকে ব্যান করেন, আর না হয় নিজেরা সরে যান।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। ঘেরাও শেষে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খানের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয়। স্মারকলিপিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলা হয়, যথাযথ জবাব, দোষীদের শাস্তি ও হামিদকে ফিরিয়ে না আনলে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চেয়ার ছাড়তে হবে। ব্যর্থ হলে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন,ছাত্র উপদেষ্টা স্যারেরা, হামিদকে ছেড়ে দেওয়ার দায়ে তিনদিনের মধ্যে পদত্যাগ করুন। নইলে ইন্টেরিমের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবে। ফ্যাসিস্ট লীগ নিষিদ্ধ না হলে ইন্টেরিম বিদায় নেবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন