আপডেট :

        পিএসজির সামনে চেলসি পরীক্ষা, রিয়াল-বায়ার্নের পর এবার কি তারাই?

        বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত

        হত্যা-গুমকে ‘গুণ’ আখ্যা, কামাল হোসেনকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য

        রেলস্টেশনে সিনেমার মতো দৃশ্য: স্ত্রীর খোঁজে গাড়ি চালিয়ে প্ল্যাটফরমে মদ্যপ যুবক

        কিনে ফেলেও ব্যবহার নয়: নিষেধাজ্ঞায় ঝুলে আছে পুলিশের হেলিকপ্টার প্রকল্প

        দাবি আদায়ে সড়কে সিএনজিচালকরা, বনানীতে তীব্র অবরোধ

        ‘গোপন তৎপরতা’ নিয়ে উদ্বেগ, প্রতিবাদে রাজপথে নামছে ছাত্রদল

        তুচ্ছ ঘটনায় ভয়াবহ পরিণতি: মাগুরায় স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী

        ফের মেসির জাদুতে মায়ামির দুরন্ত জয়, টানা পাঁচ ম্যাচে জোড়া গোল

        বিকাশ লেনদেনে বিরোধ, উত্তপ্ত পরিস্থিতি: গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ

        নির্বাচনের পথে বাধা আইনশৃঙ্খলা, তবে থামছে না প্রস্তুতি: সিইসির বক্তব্য বিবিসিকে

        সরকারি জায়গা দখলে ৩৯ প্রভাবশালী, চট্টগ্রামে উচ্ছেদে নেমেছে পাউবো

        “দেশে ফিরে দলকে রক্ষা করুন”: বিএনপিনেতাদের উদ্দেশে এনসিপি নেতার খোলা আহ্বান

        তারেক ও ফখরুলের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ: ‘হত্যার দায় নিতে হবে’ — ফয়জুল করীম

        দাখিল নবম শ্রেণি: শিক্ষার্থীদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের নতুন সময়সীমা ঘোষণা

        দূতাবাসের দীর্ঘ লাইনে প্রবাস স্বপ্ন: বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে ভোগান্তির চিত্র ভয়াবহ

        ইরানি প্রেসিডেন্টের উপর হামলার চেষ্টা: ছোড়া হয় ৬টি বোমা, রক্ষা পেলেন চমৎকারভাবে

        মধ্য ভূমধ্যসাগর রুটে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি

        ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’ – মেট্রোরেল পিলারে রাজনৈতিক গ্রাফিতি দিয়ে ইতিহাস অঙ্কিত

        ভিন্ন মিশনে’ আসছে বিদেশিরা, সরকারের নীরবতা উদ্বেগজনক: মির্জা আব্বাস

পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জ: মন্তব্য

পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জ: মন্তব্য

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সফরে রয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সফরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে। সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের বা দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেনও।


​​​​​​​মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে সে অর্থ পাচার হয়ে এসেছে, সেটিকে কিভাবে ফেরত আনা যায়; সেটি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা কাজ করবেন।


কিন্তু পাচার হওয়া অর্থ যুক্তরাজ্য থেকে কিভাবে ফেরত আনা যাবে এবং আসলে সম্ভব হবে কি না, এনিয়ে ঢাকায় চলছে নানা আলোচনা। বাংলাদেশের আর্থিক খাতের দুর্নীতি নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত কমিটি যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল তাতে দেখা যায়, বিগত শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছিল বিদেশে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিগত শাসনামলে বিদেশে পাচারকৃত অর্থের একটা বড় অংশই পাচার হয়েছে যুক্তরাজ্যে। যে কারণে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তারা। তবে তারা এ-ও বলছেন যে, যুক্তরাজ্য থেকে এই পাচারকৃত অর্থ খুব স্বল্প মেয়াদে ফেরত আনা সম্ভব নয়।


অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার সহজ কোনো রাস্তা নাই। কেননা, যে অর্থ পাচার হয়ে যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ হয়েছে, সেটির সাথে পাচারকৃত অর্থের যোগসূত্র প্রমাণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর ঘিরে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), স্পটলাইট অন করাপশন ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (ইউকে)।

এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশে চিঠি ও মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট বা এমএলএআর পাঠিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করা হলেও এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি রয়েছে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পাচারকৃত অর্থ যে দেশ থেকে অর্থ ফেরত আনা হচ্ছে, সে দেশের আইনের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যে সমস্ত দেশে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে, তার মধ্যে যুক্তরাজ্য অন্যতম একটা বড় জায়গা। ব্রিটেনের আইনি কাঠামোর সাথে আমাদের আইনি কাঠামোরও অনেক মিল আছে ঔপনিবেশিক কারণে। সে কারণে উদ্যোগটা সেখান থেকেই শুরু হয়েছে।

তবে আইনের সাথে মিল থাকলেও পাচারকৃত অর্থের সাথে যোগসূত্রতা নির্ধারণ করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, পাচারের অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন কোম্পানিও রয়েছে। তারা বিভিন্ন দেশের সরকারের অনুরোধে অর্থ ফেরানোর কাজ করে থাকে। যুক্তরাজ্য থেকে এই অর্থ ফেরাতেও সে সব কোম্পানির সাহায্য নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই অর্থ যে অবৈধভাবে পাচার হয়েছে, তারপর লগ্নি হয়েছে, এটা কিন্তু আদালতে প্রমাণ করতে হবে। এবং এটা করতে গড়ে পাঁচ থেকে সাত বছর লাগে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে। এর চেয়ে কমও লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের চাপ তো অব্যাহত রাখতে হবে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে স্পটলাইট অন করাপশনের নির্বাহী পরিচালক সুসান হাওলি বলেছেন, সময় অপচয় না করে তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ জব্দে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও অর্থ পুনরুদ্ধারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।

বিবৃতিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’র পলিসি ডিরেক্টর ডানকান হেমস বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে অর্জিত (বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত) যুক্তরাজ্যে ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড সম্পদের যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, যথাযথভাবে অনুসন্ধান করে যুক্তরাজ্য সরকারকে তা জব্দ করতে হবে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত