আপডেট :

        বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর অনেককিছুই এখন বাস্তবতা

        নির্বাচন করায় আরও ৪ নেতাকে বহিষ্কার

        নির্বাচন করায় আরও ৪ নেতাকে বহিষ্কার

        এবার বাড়লো জ্বালানি তেলের মূল্য

        অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতের চেষ্টা

        ফিলিপাইনে গরমে জেগে উঠেছে ডুবে যাওয়া শহর

        ফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

        নাভালনি হত্যায় পুতিনের জড়িত থাকা নিয়ে কী বলছে যুক্তরাষ্ট্র

        অপু-বুবলীর ‘কথাযুদ্ধ’ চলমান, মাঝে শাকিবের বিয়ে গুঞ্জন!

        শুক্রবারও ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকতে পারেঃ শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী

        সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম

        বিশ্বকাপ দলে বেশ চমক রেখেছে প্রোটিয়ারা

        বিশ্বকাপ দলে বেশ চমক রেখেছে প্রোটিয়ারা

        ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড; বাতাসের আর্দ্রতা ১২ শতাংশ

        তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত সাত দিনে সারা দেশে ১০ জনের মৃত্যু

        ভোট নিয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ খান যা বললেন

        হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়িয়েছে সৌদি আরব সরকার

        গত ৭ জানুয়ারি অনেক অপকর্ম করেছিঃ কেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া

        বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাব্য দিন জানালো আবহাওয়া অফিস

        রেলের ভাড়া না বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান

আ.লীগের কাউন্সিলে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল

আ.লীগের কাউন্সিলে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিলে বৃহৎ বিরোধি রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপিকে আমন্ত্রন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে কার্ড পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে খালেদা জিয়া ও মির্জা আলমগীর এখনও মুখ খোলেননি। তবে তাদের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যোগ দিচ্ছেন না। যদিও বিএনপির অফিস থেকে ও খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে দাওয়াত পত্র প্রাপ্তির কথা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে স্বীকার করা হয়নি।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের পার্টি প্রধান ও মহাসচিবকে দাওয়াত করেছেন । তারা দুইজন ব্যক্তিকে দাওয়াত করেছেন। আর এই দাওয়াত হয়েছে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ব্যক্তিগত দাওয়াত। ব্যক্তিগত দাওয়াতে যাওয়ার আগ্রহ এখনও পর্যন্ত বিএনপির নেই।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই দাওয়াত না দিতে পারলে দিতো না। আসলে লোক দেখানোর জন্য দাওয়াত দিয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো পার্টি বিএনপির ২০জনকে দাওয়াত দেওয়ার সামর্থ রাখে না, এটা আমরা মনে করি না। কিন্তু সামর্থ থাকলেও তারা সেই কাজটি করেনি। তিনি বলেন, এটা ইচ্ছে করেই আওয়ামী লীগ করেছে যাতে করে বিএনপি না যায়।

খালেদা জিযার ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপির কাউন্সিল করার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। সরকার নথিপত্র পর্যন্ত অফিস থেকে তল্লাসী করিয়ে নিয়ে যওয়া হয়। এরপর আর কাউন্সিলর করার ভেন্যু দেওয়া নিয়ে সরকার অনেক টালবাহানা করে। যেখানে আমাদের দলের একটি কাউন্সিলর করার জন্য সরকার অনুমতি দেয় না। সেখানে সেই দলের কাউন্সিলে আমাদের নেত্রী ও মহাসচিব কেন যাবেন। সরকারী দলতো তাদের ইচ্ছে মতো ভেন্যু নিয়েছে। তাদের যেমন খুশী তেমনভাবে কাউন্সিল করছে। আমাদেরকেতো করতে দেয়নি। তাহলে এই ধরণের একটি অনুষ্ঠানে আমরা কেন যাবো।

বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আসলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা চায় না। সুসম্পর্কও চায় না। বিশেষ করে বিএনপিকে মাইনাস করার ও রাজনীতি থেকে নাম মুছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। সেখানে কি যাওয়ার সুযোগ আছে? এছাড়াও আমাদের যে দুই নেতাক দাওয়াত দিয়েছেন তাদের নামে কত মিথ্যে মামলা দিয়েছে এই সরকার ও আওয়ামী লীগ। তাদেরকে সুযোগ পেলেই কারাগারে নিয়ে যাবে। কিন্তু পারছে না জনগণের ভয়ে। এই অবস্থায় আমাদের ওই নেতারা যাবেন না এটাই জানি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিকে দাওয়া দেওয়া হয়েছে এমনটি আমার জানা নেই। আমাদের ম্যাডাম ও মহাসচিবকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে শুনেছি। সেই দাওয়াতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তারা যাবেন এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনাও হয়নি। তিনি বলেন, আমি যতখানি জানি তারা যাবেন না। এরপর কোন সিদ্ধান্ত হলে সবাইতো দেখবেন। ম্যাডাম প্রয়োজন মনে করলে এটা নিয়ে আলোচনাও করতে পারেন নেতাদের সঙ্গে।
খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ট একজন নেতা বলেন, ম্যাডাম ওই দাওয়াতে যাচ্ছেন না এটা নিশ্চিত। মহাসচিবও যাবেন না বলে জানি। তবে এটা নিয়ে ম্যাডাম চাইলে আলোচনা করতে পারেন। এরপর সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। এদিকে তারা না গেলেও কোন প্রতিনিধি পাঠানো হবে কিনা জানতে চাইলে ওই নেতা বলেন, সেই সম্ভাবনা কম। তবে এটা শেষ মহুর্তের আগে বলা যাবে না। কারণ আওয়ামী লীগ যে লোক দেখানো দাওয়াত দিয়েছে সেটা তারা বলবে না। কারণ তারা বলতে আমরা দাওয়াত দিয়েছিলাম। বিএনপি আসেনি। আরো বলবে আসলে বিএনপি সমঝোতা চায় না। এছাড়াও আরো অনেক কথা বলবে। সেই সুযোগও দিতে চাইবেন না ম্যাডাম। এই জন্য আরো কিছুটা সময় অতিবাহিত হওয়া দরকার। যদিও বিএনপির কাউন্সিলে আওয়ামী লীগকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিলো তারা কেউ আসেনি। এমনকি এর আগের কাউন্সিলের আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বিএনপির কাউন্সিলে প্রতিনিধি পাঠালেও চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া কাউন্সিলে কোন প্রতিনিধি পাঠাননি। তাই বিএনপি চেয়ারপারসনও কোন প্রতিনিধি নাও পাঠাতে পারেন।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত