ইসি নিয়ে খালেদার প্রস্তাবনা অন্তঃসারশূণ্য : ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব অন্তঃসারশূন্য, চর্বিত চর্বন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্য চর্বিত চর্বন। ৪৫ মিনিটের অন্তঃসারশূন্য বক্তব্যে মনে হয়েছে তিনি জনগণের উপর আস্থাশীল নয়।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে শুক্রবার সন্ধায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির কাছে খালেদা জিয়া কোনো প্রেসক্রিপশন দেওয়ার আগে তার মিথ্যাচার, ক্রমানুযায়ী হামলা, অত্যাচার ও শোক দিবসে ভূয়া জন্মদিন পালন, সন্তানের মানি লন্ডারিং মামলার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। বিএনপির প্রস্তাবে যদি ভালো কিছু থাকে আমরা মনে করি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব দৃশ্যত নাকচ করে দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইসি গঠনে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইসি গঠন নিয়ে বিএনপির দেওয়া প্রস্তাবনার জবাবে শুক্রবার বিকেলে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমণ্ডিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ইসি গঠনে আমরা সংবিধান মোতাবেক চলতে চাই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন, সে প্রক্রিয়া থেকে আমাদের সরে যাওয়ার সুযোগ নেই।' এ সময় ইসি গঠনে বিএনপির প্রস্তাবকে 'অন্তঃসারশূণ্য' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের, 'যারা এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক করছেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তারা আমাদের পবিত্র সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন।'
তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার নতুন নয়, ক্রমাগত ভুলের কারণে তার দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ভাবে না, বিদেশের কোন দেশে কোন দল ক্ষমতায় আসে, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।'
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তিনি (খালেদা) জনগণের ওপর আস্থা রাখেন না। ভোটে তার বিশ্বাস নেই।'
তিনি বলেন, 'জাতির কাছে কোনো ধরনের প্রেসক্রিপশন দেওয়ার আগে যুদ্ধাপরাদীদের রক্ষায় মানুষ হত্যার জন্য তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে। শোক দিবসে জন্মদিন পালনের জন্যও ক্ষমা চাইতে হবে।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এখন যে তিনি (খালেদা) সুন্দর সুন্দর ভালোকথাগুলো বলছেন, এগুলো মাগুরা, ঢাকা-১০ এর উপ-নির্বাচনে কোথায় ছিল। নিজেরা যেটা প্রাকটিস করে না, সেটা অন্যকে বলাও ঠিক নয়।'
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন