দেশের প্রথম বিআরটি নির্মাণ চুক্তি সই
ঢাকা মহানগরী ও গাজীপুরের মধ্যে যাতায়াত দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ করতে নির্মিত হতে যাচ্ছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম এ রুট নির্মাণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার নগরীর একটি হোটেলে চীনের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সই হয়েছে।চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল এবং নাইমুর রহমান দুর্জয়।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এ. কিউ. এম. ইকরাম উল্লাহ জানান, জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটির মূল করিডোরটির দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৬ কিলোমিটার হবে সমতলে এবং সাড়ে ৪ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এতে নির্মিত হবে ২৫টি স্টেশন, ৬টি ফ্লাইওভার, ৮-লেন বিশিষ্ট টঙ্গী সেতু, ৩২ কিলোমিটার ফুটপাত এবং গাজীপুরে ১টি বাস ডিপো।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান এবং চীনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না গেজহুবা গ্রুপ নম্বর ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কো. লি. এর পক্ষে সাউথ এশিয়া ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝেং টিবিং সই করেন।
উল্লেখ্য, বিআরটি উন্নতমানের বাসভিত্তিক গণপরিবহণ ব্যবস্থা; যার মাধ্যমে যাত্রীরা কম সময়ে, নিরাপদে এবং আরামে যাতায়াত করতে পারবে। মহাসড়কের মাঝ বরাবর দুদিকে দুটি পৃথক লেনে নির্দিষ্ট বাস চলাচল করবে। আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে এটি জনবহুল নগরগুলোতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের কমার্সিয়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ লুইও জিয়ানফেং ও জেনারেল ম্যানেজার হু কিলি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় দুই হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এতে সরকার ছাড়াও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসী উন্নয়ন সংস্থা এবং গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাসিলিটি অর্থায়ন করছে। চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮’শ ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টঙ্গী ফ্লাইওভার ছাড়া বাকি ১৬ কিলোমিটার রুটের কাজ করবে। সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ টঙ্গী ফ্লাইওভারটি আলাদা প্যাকেজে বাস্তবায়িত হবে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন