উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি কিন্তু পরীক্ষা হচ্ছে সাত মাস আগে
‘ভারতকে মুক্ত আকাশ সুবিধা দেওয়া সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি’
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের প্রচারণা সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি সই হচ্ছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের আকাশসীমা ও বিমানবন্দর ব্যবহার করতেও ওপেন স্কাই সুবিধা চাচ্ছে ভারত। ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দর, সড়ক ও মুক্ত আকাশ সুবিধা নিলে আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বলে কিছুই থাকবে না।’
রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘মজলুম জননেতা’ মওলানা ভাসানীর ১৩৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ‘বর্তমান বিনাভোটের সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সাথে একের পর এক চুক্তি করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে তারা ভারতের হাতে উজাড় করে দিচ্ছে। অথচ বিনিময়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কিছুই পায়নি। ভারত একতরফাভাবে অভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এক লিটার পানিও তারা ছাড় দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে বলতে গেলে বিনামূল্যেই ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পতাকা-মানচিত্র রক্ষায় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রদর্শিত পথে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেছেন, ‘মওলানা ভাসানীই বুঝিয়েছেন শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাজনীতি নয়; দেশের পক্ষে, মানুষের পক্ষে সাম্রাজ্যবাদী আর আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মেরুদন্ড সোজা করে লড়াই করাই হচ্ছে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি।’
বাংলাদেশ ন্যাপের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়া আর ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকলেও দেশের স্বার্থবিরোধী এই সকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছি না। আর তাই সমগ্র জাতি উপলব্ধি করছে দেশের স্বার্থে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মতো নেতার আজ কতটা প্রয়োজন। সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তি এবং তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে খামোশ উচ্চারণ করার মতো নেতার কতটা জরুরি।’
বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় ২০ দলের শরিক এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় পার্টি যুগ্ম মহাসচিব এ. এস. এম. শামিম, বাংলাদেশ ন্যাপের কেন্দ্রী নেতা মো. কামাল ভুইয়া, বাসন্তী বরুয়া বাবলী, মো. মিজানুর রহমান, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের যুগ্ম সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল, মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন