বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হাইকোর্টে করা আবেদনের বিষয়টি বুধবার খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের জানান।
মামলাটি বর্তমানে রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আবেদনে মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের আরজি জানানো হয়েছে।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী।
আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে আরও অনেক মামলা বিচারাধীন। সেসব মামলায় এক দেড় মাস পরপর দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে কোনো কোনো সপ্তাহে দুইবার পর্যন্ত দিন ধার্য করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মতো তিনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।
আবেদনে আরও বলা হয়, এই মামলার দুইবার তদন্ত করা হয়েছে। প্রথম দফায় দুদকের কর্মকর্তা নূর আহমেদ মামলার অভিযোগ থেকে খালেদাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ওই তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার জন্য কুয়েতের আমির অর্থ দিয়েছেন। কিন্তু দুদক এই মামলায় নতুন কর্মকর্তা হিসেবে হারুনুর রশিদকে নিয়োগ দেন। এই তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে বলেছেন, টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। এখানে খালেদা জিয়া জড়িত। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া পুনরায় তদন্ত চেয়ে আবেদন করলে সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এমতাবস্থায় ওই আদালতে আমাদের আশঙ্কা ওই আদালতে ন্যায়বিচার পাব না। তাই এই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আবেদন করেছি।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদা ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন