আপডেট :

        চোখে মাইক্রোচিপ বসিয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

        প্রথম ম্যাচে জয়ের পরও ফাঁকা মিরপুরের গ্যালারি

        ১০ মাসেও জুটেনি নতুন বই, বিপাকে ৫৪ শিক্ষার্থী

        পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি টিকবে?

        বাংলাদেশের আকাশে উল্কাপাত দেখা যাবে মঙ্গলবার রাতে

        দেব-রুক্মিণীর ‘বিচ্ছেদ’ নিয়ে ফের গুঞ্জন

        পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন ‘ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র চলছে’

        সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন বিএনপি মহাসচিব

        আইএমএফের কঠোর শর্ত: নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ নয়

        সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

        রোনালদোর স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক ধাপ এগোলেন তার ছেলে

        ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে টিউশন ফি

        বর্ষা নিজেই গলায় কোপ দেয় জুবায়েদকে

        চীনকে ট্রাম্পের কঠোর হুঁশিয়ারি: চুক্তি না হলে ১৫৫% শুল্কের হুমকি!

        অভিনেতা আসরানি ৮৪ বছর বয়সে মারা গেলেন, দীর্ঘদিনের অসুস্থতায় মৃত্যু

        সিরিজ হারার পর হোয়াইটওয়াশ: বাংলাদেশী ফ্যানদের চোখে অশ্রু, লাহোরে হতাশার রাত্রি

        তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি শুরু হয়েছে

        "অস্ত্রের দৌড়ে বিশ্বের টাকা, শান্তি বিপন্ন"

        লস এঞ্জেলেসে ‘নো কিংস ডে’র প্রতিবাদে ১৪ জন গ্রেপ্তার

        হান্টিংটন বিচে গাড়িচাপায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, দুইজন আহত

আগামী নির্বাচন নির্বাচিত সরকারের অধীনেই : তথ্যমন্ত্রী

আগামী নির্বাচন নির্বাচিত সরকারের অধীনেই : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ি নির্বাচিত সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

জাতীয় সংসদে রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের (একাংশ) সভাপতি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ও খালেদা জিয়া নির্বাচনকালিন সহায়ক সরকারের কথা বলে নির্বাচন ভণ্ডুল করার চক্রান্ত করছে। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ি যথাসময়ে নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এদেশে আর রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা হবে না।

হাসানুল হক ইনু বলেন, গত নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালিন সরকারের ফর্মূলা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি সেটা প্রত্যাখান করেছিল। আবার যখন তারা নির্বাচনকালিন সহায়ক সরকারের কথা বলে তখন মনে হয় নির্বাচন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে। নির্বাচনের সময় একটি অনির্বাচিত অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রস্তাব দিয়ে তারা নির্বাচনকে ভণ্ডুলের চক্রান্ত করতে চায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ কোনো চক্রান্তের কাছে আর পরাজিত হবে না। সংবিধান অনুযায়ি দেশ চলবে। আগামী নির্বাচন যথা সময়ে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারির আগে অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোথাও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, এদেশে আর রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা হবে না। মুক্তিযোদ্ধারাই এদেশে খেলবে। রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা মিলমিশের তত্ত্ব চিরতরে কবর দিতে হবে; অতীতে যেভাবে দ্বিজাতি তত্ত্বের কবর দিয়েছিলাম। জঙ্গি ও জঙ্গির সঙ্গিদের বিচার ও দমনে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জঙ্গি দমনে, দারিদ্র্যমুক্ত ও লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে শুন্য সহিষ্ণু নীতি (জিরো টলারেন্স) অনুসরণ করতে হবে।

হাসানুল হক ইনুর কবিতা : আলোচনায় অংশ নিয়ে শুরুতে কবিতা দিয়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন হাসানুল হক ইনু। কবিতায় তিনি বলেন, কৃষকের ক্ষেতে ধানের ঢেউ, পাটের হাসি, জলেতে মাছের নাচানাচি। বিদ্যুতে কারখানা সচল, গ্রামের ঘরবাড়ি আলোতে ঝলমল। ছাত্র-ছাত্রীর হাতে হাতে বই, কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তার-রোগির ভিড়ে হৈচৈ। হাতে হাতে মোবাইল ইন্টারনেট, স্কুলের ল্যাবে কম্পিউটার সেট। ফোর লেন ফ্লাইওভার পদ্মা সেতু পায়রা সোনাদিয়া, গোটা দুনিয়া দেখছে বিস্ময়ে চাহিয়া। সমুদ্রে সাবমেরিন, আকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ইউনিয়নে তথ্য কেন্দ্র, সব খবরের জন্য ওয়েবসাইট। আরও বহু আছে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণে আছে সেটা।

ক্ষুদ্রঋণ নয়, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপেই দারিদ্র্য বিমোচন

ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষুদ্রঋণ নয়, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণেই দেশে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষদ্রঋণ হচ্ছে সম্মানের চোখে ভিক্ষা দান। যে টাকা দেওয়া হয় তার কয়েকগুন ফেরত নেওয়া হয়। ক্ষুদ্রঋণের ফলে বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্রতা থেকে উঠে আসতে পারেনি। কৃষিতে ভর্তুকি, শিল্পের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সরকারের নান পদক্ষেপের ফলে দারিদ্র্যের উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ স্বাধীনতার পর একটি দরিদ্র দেশ ছিল। আজকে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন আর বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশ বলার সুযোগ নেই।

দেশের এক-চতুর্থাংশ মানুষ নানাভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ টাকা ধরে ৫২ লাখ পরিবার ১২ মাসের মধ্যে ৯ মাস চাল পাচ্ছে। একটি বাড়ি একটি খামারের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় গড়ে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা জমা হচ্ছে।

এসময় তিনি বলেন, আজকে সমগ্র পৃথিবী স্বীকার করছে, বাংলাদেশ যে-ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা সবার জন্য উদাহরণ। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অনুকরণীয়, অনুস্মরণীয়।

এ সময় বিএনপি এবং দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তারা দেখেও দেখেন না, শুনেও শোনেন না। বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কানাডার আদালতের দেওয়া রায়ের প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, বিএনপির অপর নাম হচ্ছে সন্ত্রাস, দুর্নীতি।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ গেলো ৩ মার্চ ২০১৬ সালের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দেশটির সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ১১শ মানুষ নিহত হয় সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। চলতি বছরও ৬০০ জন নিহত হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহতরা হিস্পানিক, কালো রেড বা ধর্মীয় ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর লোক। কয়েকদিন আগে দেশটিতে হাতকরা অবস্থায়ও এক বন্দিকে হত্যা করা হয়।

এ সময় অন্যদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের আগে নিজের দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ভাবার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানান।

জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সক্ষমতা প্রমাণ করেছে দাবি করে সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ সক্ষমতা পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রও দেখাতে পারেনি।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এইচএম আশিকুর রহমান, মিজানুর রহমান, হুইপ শাহাব উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুসহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য দেন।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত