দীপিকা-রণবীরের বেবি দুয়া: মায়ের চোখ নিয়ে ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে ছবি
বিদেশের সাথে চুক্তি হয়েছে দেশের উন্নয়নের জন্য : প্রধানমন্ত্রী
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যকে মেঘ-বৃষ্টির সাথে চোখের পানি ঝরিয়ে দুঃখ লাঘব করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এই পরামর্শ দেন।
ফখরুল ইমাম সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘আকাশ অনেক বিশাল কিন্তু দুঃখ রাখার জায়গা নেই। তাই সে সবার সামনে কাঁদে। কিন্তু মানুষ আকাশের চেয়ে বিশাল তাই সব কষ্ট গোপন করে নীরবে কাঁদে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নস্টালজিয়াতে ভুগে আমাদের সুখ নষ্ট করেছি। যেমন- আমি ফেলে এসেছি স্কুল ইউনিফর্ম। ফেলে এসেছি লুকোচুরি খেলা বিকেল। আমি ফেলে এসেছি স্কুল ছুটির ঘণ্টা। আমি ফেলে এসেছি সেই এক টাকার আইসক্রিম। আমি ফেলে এসেছি স্কুল ফেরত গলিপথ...। এই যে শান্তি-স্বস্তি-আস্থার ভরসাস্থল আমারা ফেলে এসেছি।
আমরা আশা করি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যাপারে দূরদৃষ্টি আছে। তার থেকে যদি দুই একটা আমাদেরকে বলতেন, বিশেষ করে আমরা যে চুক্তি করে এসেছি। তাতে আমরা শৈশবের সেই শান্তি ফিরে পাব কি না?’
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বভাবসুলভ হাস্যরসে বলেন, ‘আকাশ বিশাল: দুঃখ রাখার জায়গা নাই, এটা ঠিক। তো মাননীয় সংসদ সদস্যকে বলবো, আকাশে যখন মেঘ জমে আপনি আপনার দুঃখটা সেই মেঘের সাথে ভাগ করে নিয়েন। আর মেঘে যখন বৃষ্টি ঝরে তখন আপনার চোখের পানি একই সাথে মিলেমিশে ঝরাবেন। তাহলেই আপনার দুঃখ লাঘব হবে।
এখন মেঘে মেঘে বেলা কিন্তু অনেক হয়ে গেছে। সকলের বয়সও অনেক হয়েছে। কাজেই শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করা যায়। কিন্তু সেই সুখের দিন আর ফিরে পাওয়া যায় না। এটাই হল বাস্তবতা। সমঝোতা স্মারকের সাথে শৈশবের দু:খ-সুখের কি সম্পর্ক সেটাও কিন্তু আমি খুঁজে পাইনি?
মাননীয় সংসদ সদস্য অত্যন্ত কাব্যিক ও সুন্দরভাবে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। আমি যা কিছুই করেছি জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য। দেশের উন্নয়নে আমি বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয় সফর করি সেখানে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করি অথবা চুক্তি সই করি অর্থ্যাৎ যা কিছু করি বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে বাংলাদেশের মানুষকে সুন্দর জীবন দানের জন্য। দারিদ্র, ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই করা হয়।
ভারতের সাথে যে সমস্ত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তার সবকিছুই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে করা হয়েছে।’
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন