দীপিকা-রণবীরের বেবি দুয়া: মায়ের চোখ নিয়ে ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে ছবি
‘ড. ইউনূসকে না সরাতে শেখ হাসিনাকে চাপ দিয়েছিলেন হিলারি’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সারকা’র প্রতিবেদন
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণ না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চাপ দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম সারকা এই কথা জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ড. ইউনূসের কোনও প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি সারকা।
সারকা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২০১১ সালের মার্চ মাসে হিলারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে ইউনূসের ব্যাপারে চাপ দেন। এক ইমেইল বার্তায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উপ-প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম সারকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি ইমেইলে সারকাকে জানান, ‘সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ২০১১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ না করার জন্য চাপ দেন।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ড. ইউনূসকে সারকার পক্ষ থেকে ফোন করা হয়। তবে তার কোনও প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি ওই মার্কিন সংবাদমাধ্যম। অবশ্য অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ইউনূস কোনও ধরনের বেআইনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে আসছেন।
এর আগে উইকিলিকসের ফাঁস করা ইমেইল সূত্রে জানা গিয়েছিল, হিলারিকে তিনি নিজের অপসারণ ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওই সময় ইউনূস এক ইমেইলে হিলারির উপদেষ্টা মেলানি ভারবিকে লিখেছিলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়টি বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যায় কিনা দেখুন। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পরামর্শে সমস্যাটি সম্পর্কে জানাতে আমি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছি।’ প্রতিক্রিয়ায় হিলারি মার্কিন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ইউনূস যে সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তা তার স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে জানাতে।
উল্লেখ্য, বিল ক্লিনটনের প্রতিষ্ঠিত ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের একজন বড় দাতা ড. ইউনূস।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, ২০১০-২০১২ সালে বিভিন্নভাবে ইউনূসবিরোধী তদন্ত নস্যাতের চেষ্টা করেছিলেন হিলারি ক্লিনটনের সহযোগীরা। তারা জয়কে চাপ দিয়েছিলেন, তিনি যেন তদন্তকাজ থামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তার মাকে রাজি করান। এজন্য দফায় দফায় তারা জয়ের আর্থিক হিসাব তদন্তের হুমকি দিয়েছেন। পাঁচ বছর ধরেই জয় এমন অভিযোগ করে আসছেন।
শেয়ার করুন