দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
রমজানের আগেই চড়া আদা-রসুনের দাম
রমজানের দুই মাসের বেশি সময় আগেই বাড়তে শুরু করেছে আদা ও রসুনের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং আদার দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। মুরগি, ডিম ও সবজির বাজারে কিছুটা তেজ দেখা গেছে। তবে আমন ধান ওঠায় মোটা চালের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল রাজধানীর বনানী, মহাখালী ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশি আদা-রসুনের চেয়ে আমদানি করা আদা-রসুনের দাম বেড়েছে বেশি। বিদেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। দেশি আদার কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন প্রতি কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১১০ থেকে ১৩০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ এবং আমদানি করা রসুন ১১০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি রসুনে ১০ থেকে ২০ এবং আমদানি করা রসুনে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে।
মুরগি ও ডিমের দামও কিছুটা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লারের কেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও দাম কিছুটা বেড়ে এখন ব্রয়লার ১৫০ থেকে ১৫৫ এবং সোনালি ২৫৫ থেকে ২৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজনে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।
গতকাল বিকেলে মহাখালী কাঁচাবাজারে নুর মোহাম্মদ নামে একজন ক্রেতা সমকালকে বলেন, 'সামনে রমজান। এ কারণে আগেভাগেই দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়ার ব্যাপারে অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই। দেশে এখন যে যার মতো করে চলছে।' দাম বাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বনানী কাঁচাবাজারের কলি স্টোরের বিক্রয়কর্মী রায়হান সমকালকে বলেন, গত চার-পাঁচ দিন ধরে হঠাৎ পাইকারি বাজারে আদা-রসুনের দাম বাড়ছে।
দিন দশেক ধরে সবজির বাজারে মোটামুটি স্বস্তি ছিল। তবে গত দুই-তিন দিনে সবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, শিম ২৫-৩০, টমেটো ৪০-৫০, করলা ৬০-৮০, গাজর ৩০-৪০, শসা ৪০-৫০, চিচিঙ্গা-ঝিঙে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম রাখা হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কাঁচামরিচের দাম এখনও ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের মতোই নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা দরে।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিলুর রহমান বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরে শীত বেশি পড়ার কারণে সবজি তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে দাম একটু বাড়তি। '
এদিকে আমন ধান ওঠার কারণে নতুন চালের সরবরাহ বেড়েছে বাজারে। এতে মোটা চালের কেজি ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। গুটিস্বর্ণা জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৭-৫২ টাকা দরে। মাঝারি আকারের চালের দামও কমেছে ১ থেকে ২ টাকা করে। পাইজাম ও বিআর-২৮ জাতের মাঝারি আকারের চালের কেজি কেনা যাবে ৫৬-৫৮ টাকা দরে। তবে চিকন বা মিনিকেট চালের দাম কমেনি। এ মানের চাল এখনও বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকা কেজি দরে।
আগের মতোই বাড়তি দর দেখা গেছে মাছের বাজারে। আকারভেদে রুই-কাতলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৮০ টাকা টাকায়। পাঙাশ, তেলাপিয়া এবং চাষের কইয়ের কেজি পাওয়া যাবে ১৮০-২২০ টাকায়। গরুর মাংসের দাম বাড়তি। এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন