আপডেট :

        চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই জিকা রোগী শনাক্ত

        ২০১৫ সালের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া, কুমিল্লায় আদালতের রায়

        রাশিয়ার পরিবহনমন্ত্রীকে অপসারণ করলেন পুতিন

        ঐতিহাসিক মুহূর্ত: জেনিফার সাইমনস সুরিনামের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত

        শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা: দুই মালিঙ্গার জোড়া হুমকি

        মালয়েশিয়ার আকাশে অদ্ভুত পরীর আবির্ভাব: রহস্যের জালে ঘেরা গল্প

        ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ৭ অঞ্চলে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা

        শিক্ষা উপদেষ্টার পরামর্শ: কারিগরি শিক্ষায় জোর দিন

        ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ও হেফাজত আমিরের বৈঠক: শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

        বিশ্ব বাণিজ্যে ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপ: কমছে স্বর্ণের দাম

        ফলের রস না স্মুদি: কোনটি আপনার সকালকে করবে আরও স্বাস্থ্যকর?

        লালনশিল্পী ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা: ছেলে চাইলেন সকলের দোয়া

        এশিয়ান কাপের ইতিহাস গড়ে নারী ফুটবল দলকে মধ্যরাতে বাফুফের সংবর্ধনা

        ইলন মাস্কের দল নিয়ে ট্রাম্পের বিদ্রূপ: ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিলেন

        আসন্ন নির্বাচন: পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘোষণা

        ট্রাম্পের বাণিজ্য চাপের মুখে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা

        “ফরিদপুরে এ.কে. আজাদ বাড়িতে বিএনপি মিছিল নিয়ে চড়াও, গণসংহতি আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ

        ক্লাব বিশ্বকাপে খেলায় Musiala ইনজুরিতে পরাজিত বায়ার্ন — PSG সেমিতে জয়ী

        করোনা ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে: একদিনে ২৯৪ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত, একজনের মৃত্যু

        “সাইফুল হক: রাজনৈতিক মতপার্থক্যের মধ্যেও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে”

শতবর্ষে শিল্পী মান্না দে

শতবর্ষে শিল্পী মান্না দে

কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, মান্না দেও আর নেই। শুধু আছে তার অজস্র গানের স্মৃতি। ১৯১৯ সালের ১লা মে জন্ম নেয়া এই কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পীর আজ শততম জন্মদিন। শুভদিনে অবিরাম শ্রদ্ধা সবর্কালের সেরা এই গায়কের প্রতি।

মান্না দে উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীত শিল্পীদের একজন। তার প্রকৃত নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অনেক ভাষায় তিনি ষাট বছরেরও অধিক সময় সঙ্গীত চর্চা করেছিলেন। অনেক বিশেষজ্ঞ সঙ্গীতবোদ্ধারা হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করে থাকেন। 

মান্না দে গায়ক হিসেবে আধুনিক বাংলা গানের জগতে সর্বস্তরের শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ও সফল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। হিন্দি ও বাংলা সিনেমায় গায়ক হিসেবে অশেষ সুনাম অর্জন করেছেন। ধ্রুপদী সঙ্গীত থেকে বাংলা আধুনিক গান, ভক্তিগীতি, কীর্তন কিংবা কবিগান বাংলা গানের জগতের সব আঙ্গিকেই রয়েছে তার স্পর্শ। সারা জীবনে ৫ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন মান্না দে। ২০১২ সালে শেষবার এই কিংবদন্তী লাইভ পারফরম্যান্স করতে দেখেছেন সঙ্গীতপ্রেমীরা। ২৪ অক্টোবর, ২০১৩ সালে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। 

মান্না দে তার শৈশব পাঠ গ্রহণ করেছেন ‘ইন্দু বাবুর পাঠশালা’ নামে একটি ছোট প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল ও স্কটিশ চার্চ কলেজে স্নাতক শেষ করেন।  স্কটিশ চার্চ কলেজে অধ্যয়নকালীন তিনি তার সহপাঠীদেরকে গান শুনিয়ে আসর মাতাতেন। ঐ সময়ে আন্তঃকলেজ গানের প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে তিন বছর তিনটি আলাদা শ্রেণীবিভাগে প্রথম হয়েছিলেন মান্না দে।

তিনি তার কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে ও উস্তাদ দাবির খানের কাছ থেকে গানের শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৪২ সালের দিকে কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র সাথে সহকারী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তারপর শচীন দেব বর্মণ’র অধীনে কাজ করেন। পরবর্তীতে বেশ কিছু স্বনামধন্য গীতিকারের সান্নিধ্যে গিয়ে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করেন। এছাড়া উস্তাদ আমান আলী খান ও উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেন।

পেশাগত জীবনে ‘তামান্না’ চলচ্চিত্রে গায়ক হিসেবে মান্না দে‘র অভিষেক হয়। তার বিখ্যাত কিছু বাংলা গানের মধ্যে আছে- কফি হাউজের সেই আড্ডাটা, আবার হবে তো দেখা, এই কূলে আমি, আর ওই কূলে তুমি, তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়, যদি কাগজে লেখো নাম, সে আমার ছোট বোন।

তার উল্লেখযোগ্য হিন্দি গানের মধ্যে আছে- পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া, কেতকী গুলাব জুহি, লাগা চুনরি মে দাগ, জিন্দেগী ক্যায়সি হে পেহেলি, ইয়ে রাত ভিগি, ভিগি, তু প্যায়ার কা সাগর হে।

সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদানের জন্য মান্না দে ভারত সরকার কর্তৃক ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ ও ২০০৭ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননা পেয়েছেন।  ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ বেসামরিক  সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত