আপডেট :

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

        কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

কৃত্রিম রক্ত উৎপাদন শুরু হয়েছে জাপানে

কৃত্রিম রক্ত উৎপাদন শুরু হয়েছে জাপানে

রক্ত দিন, জীবন বাঁচান- এই স্লোগানের দিন বুঝি এবার শেষ হয়ে আসছে। রক্ত সংগ্রহে আর বোধহয় নির্ভর করতে হবে না ‘দান’র উপর। কারণ ইতিমধ্যেই কৃত্রিম রক্ত উৎপাদন শুরু করেছে জাপান। তাদের পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি হচ্ছে রক্ত। ধারণা করা হচ্ছে, গোটা বিশ্বে রক্তের সংকট মেটাবে জাপানের এই উদ্ভাবন।রক্তের সংকট গোটা পৃথিবীতেই একটা তীব্র সমস্যা। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাজে প্রতিদিন সারা বিশ্বে যত রক্তের চাহিদা থাকে, সে তুলনায় রক্ত সংগ্রহের পরিমাণ একেবারেই কম। জাপানেও এই সমস্যা যথেষ্ট। বিশেষ করে দেশটিতে মারাত্মকভাবে কমে আসছে জনসংখ্যা।জাপানের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপরে। ২০১০ সালের মধ্যে দেশটির জনসংখ্যা ৮ কোটি ৩০ লাখে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জনসংখ্যা কমে যাওয়ার আরো একটি আশঙ্কার দিক হল রক্তদাতার সংখ্যাও কমে যাওয়া। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে রক্ত তৈরির কাজ শুরু করেন জাপানি বিজ্ঞানীরা।এই গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গেঞ্জিরো মিওয়া ২০০৮ সালে কৃত্রিম ব্লাড ব্যাঙ্কের বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেন। সেই থেকে কৃত্রিমভাবে প্লেটলেট তৈরির জন্য গবেষণা শুরু করেন তিনি। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে এই গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন মিওয়া। কৃত্রিম প্লেটলেট তৈরির জন্য ২০১১ সালে মোগাকারিয়ন নামে একটি কোম্পানি গঠন করেন তিনি।তবে এখন পর্যন্ত প্রযুক্তি এবং জনশক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ কৃত্রিম রক্ত তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে, প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই কম। প্রতি দুই সপ্তাহে মাত্র কয়েক ইউনিট রক্ত তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে শুধু জাপানেই বছরে আট লাখ ইউনিট রক্ত লাগে।জাপানি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সহযোগিতায় কৃত্রিম রক্তের উত্পাদন আরো বাড়াতে চাইছে মোগাকারিয়ন। ২০২০ সালের মধ্যেই গণ-উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটা সত্যি হলে পৃথিবী থেকে রক্তের সংকট অনেকটাই মুছে ফেলা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয় রক্ত বিনিময়ের মাধ্যমে এইডসের মতো যে সব রোগ ছড়িয়ে পড়ে, তার থেকেও মুক্তি সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত