আপডেট :

        ধর্ষকের শাস্তি সবার সামনে হোক: সোহম

        বায়ার্নের দাপটে বিদায় ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো, পিএসজির মুখোমুখি কোয়ার্টারে

        ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরাদনগরে রাজনৈতিক উত্তেজনা: কে দায়ী?

        ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি: ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

        এশিয়া কাপের সম্ভাব্য সূচি জুলাইয়ে প্রকাশিত হবে

        সরকারের প্রতিশ্রুতি ব্যর্থ: জুলাই সনদ প্রকাশ করবে এনসিপি - নাহিদ ইসলাম

        রথযাত্রার উৎসবে বিপর্যয়: উড়িষ্যায় ভিড়ে পিষ্ট হয়ে ৩ মৃত, ১০ জন আহত

        মনু মিয়ার শেষ বিদায়ে অভিনেতা খায়রুল বাসারের মানবিকতার জয়

        মেসি-রোনালদো: সময় পেরিয়েও অপ্রতিরোধ্য ফুটবলের দুই কিংবদন্তি

        মুরাদনগরের অশান্তির জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতারা দায়ী: আসিফ মাহমুদ

        ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্পে পাকিস্তানে দুইবার কাঁপল ধরিত্রী

        হিরো আলমের যত্নে রিয়া মনি, প্রকাশ করলেন তার শারীরিক অবস্থা

        হাছিনা নয় শেখ হাসিনা নয়, তবুও বারবার বদলাচ্ছে স্কুলের নাম

        জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেট: ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩২৩ কোটি টাকা

        কোকেন উৎপাদনে ঐতিহাসিক উচ্চতা, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উদ্বেগ

        ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক জোরদারে প্রস্তুত পুতিন, নতুন যোগাযোগের আভাস

        স্বর্ণের বাজারে ধস: এক মাসে সর্বনিম্ন দামে পৌঁছাল হলুদ ধাতু

        সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, ৩০০ গাড়ি অপেক্ষায়

        ট্রাম্পের দাবি: খামেনির প্রাণ বাঁচিয়েছি, ধন্যবাদ পাইনি

        এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা: কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে নতুন নিয়ম

খাদ্যের ভেজাল নির্ণয়ের ১১ টি উপায়

খাদ্যের ভেজাল নির্ণয়ের ১১ টি উপায়

সহজ কিছু কৌশলে শনাক্ত করা যায় কিছু নিত্য ব্যবহার্য খাদ্যের ভেজাল। ছবি: সংগৃহীত।

খাদ্যের ভেজাল এখন একটি সাধারণ বিষয়। আর এ কারণেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। খাদ্যের ভেজাল শনাক্ত করা গেলে ভেজাল খাদ্য খাওয়া থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।  সহজ কিছু কৌশলে শনাক্ত করা যায় খাদ্যের ভেজাল। চলুন তাহলে জেনে নিই বিভিন্ন খাবারের ভেজাল শনাক্ত করার কিছু সহজ উপায়।


১। দুধ

দুধে সাধারণত যে ভেজাল মেশানো হয় তা হল – অপরিশোধিত পানি, চকের গুঁড়া, সাবানের গুঁড়া বা গুঁড়া সাবান, স্টার্চ, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ইউরিয়া। ভেজাল মেশানো দুধ খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে – ফুড পয়জনিং, হৃদপিণ্ডের সমস্যা, ক্যান্সার, বমি ও বমি বমিভাব হওয়া। দুধের ভেজাল নির্ণয়ের জন্য যা করতে পারেন -  একটি খাড়া/ঢালু স্থানে ১ ফোঁটা দুধ ফেলুন। যদি দুধের ফোঁটা সোজা গড়িয়ে পড়ে তাহলে এটি বিশুদ্ধ দুধ। আর যদি সোজা হয়ে না পড়ে তাহলে তাতে ভেজাল আছে বুঝতে হবে।

তাপ দেয়ার পড়ে যদি দুধ হলুদ হয়ে যায় তাহলে এবং এর স্বাদ যদি তেতো বা সাবানের মত মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে যে এর মধ্যে কৃত্রিম উপাদান মেশানো আছে।


২। কফির গুঁড়ো

কফির গুঁড়োয় যে ভেজাল মেশানো হয় তা হচ্ছে – তেঁতুলের বীজ ও চিকোরি গুঁড়ো। এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে- ডায়রিয়া, পাকস্থলীর সমস্যা, মাথা ঘোরা এবং জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি। কফিতে মিশ্রিত ভেজাল শনাক্ত করার জন্য ১ গ্লাস পানির উপরে সামান্য কফির গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন। কফি পানির উপরে ভাসতে থাকলেও চিকোরি পানির নীচে চলে যাবে এবং রঙের সারি দেখা যাবে।


৩। মরিচের গুঁড়ো

সাধারণত মরিচের গুঁড়োর সাথে ইটের গুঁড়ো বা কাঠের গুঁড়ো মেশানো হয়। এই ভেজাল মিশ্রিত মরিচ খেলে পাকস্থলীর সমস্যা ও ক্যান্সার হতে পারে। মরিচের গুঁড়োর ভেজাল শনাক্ত করার জন্য ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মরিচের গুঁড়ো মেশান। যদি পানির রঙ পরিবর্তিত হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে যে এই মরিচে ভেজাল আছে।


৪। হলুদের গুঁড়ো

হলুদের গুঁড়োয় হলুদ অ্যানালিন ডাই এর মেটানিল ইয়েলো মেশানো হয়। এগুলো কার্সিনোজেনিক এবং পাকস্থলীর সমস্যা তৈরি করে। ভেজাল নির্ণয়ের জন্য একটি টেস্ট টিউবে হলুদের গুঁড়ো নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা গাড় হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিন। যদি হলুদের রঙ গোলাপি, রক্তবর্ণ বা বেগুনী হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই বোঝা যায় যে এতে ভেজাল আছে।


৫। সরিষা বীজ এবং তেল

সরিষায় মেশানো হয় আর্গেমন বীজ। এর প্রভাবে এপিডেমিক ড্রপ্সি (যে রোগে জলীয় পদার্থ জমে শরীরের কোন অংশ ফুলে ওঠে) এবং তীব্র গ্লুকোমা হয়। সরিষার ভেজাল নির্ণয়ের জন্য কয়েকটি সরিষা বীজ নিয়ে চূর্ণ করুন। আরগেমন বীজ চূর্ণ করলে এর ভেতরে সাদা গঠন দেখা যাবে। অন্যদিকে সরিষার বীজের ভেতরে হলুদ অংশ দেখা যাবে।


৬। আইসক্রিম

আইসক্রিমের মধ্যে ওয়াশিং পাউডার মেশানো হয়। এই আইসক্রিম খেলে লিভার ড্যামেজ ও পাকস্থলীর সমস্যা হয়। আইসক্রিমের ভেজাল নির্ণয়ের জন্য এর উপর কয়েকফোটা লেবুর রস ফেলুন। যদি ফেঁপে ওঠে তাহলে এতে ওয়াশিং পাউডার থাকাকে নির্দেশ করে।


৭। সবুজ মরিচ

কৃত্রিম রঙ মেলাসাইট গ্রিন মেশানো হয় সবুজ মরিচে। এটি এক ধরনের কার্সিনোজেনিক উপাদান। ভেজাল নির্ণয়ের জন্য প্যারাফিনের মধ্যে সামান্য তুলা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এই তুলা দিয়ে মরিচের একটি অংশ অথবা যেকোন সবুজ সবজির এক অংশে লাগিয়ে ঘষুন। তুলাটি সবুজ হয়ে গেলে বুঝতে আর বাকী থাকেনা যে এর মধ্যে কৃত্রিম সবুজ রঙ মেশানো ছিল।


৮। ঘি

ঘি এর মধ্যে ভেজিটেবল অয়েল এবং প্রাণীজ চর্বি মেশানো থাকে। এই ঘি খেলে অ্যানেমিয়া ও হার্ট বড় হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা হয়। একটি টেস্ট টিউবে ১ মিলিলিটার পানি নিয়ে এর মধ্যে ০.৫ গ্রাম ঘি মেশান এবং মিশ্রণটিতে তাপ দিন। ঠান্ডা হওয়ার পরে এর মধ্যে ১ ফোঁটা আয়োডিন যোগ করুন। যদি এর রঙ নীল হয়ে যায় তাহলে বোঝা যায় যে, এর মধ্যে ভেজাল আছে।


৯। চিনি

চিনিতে চকের গুঁড়া মেশানো হয়। এই চিনি খেলে পাকস্থলীর সমস্যা হয়। চিনির ভেজাল নির্ণয়ের জন্য ১ গ্লাস পানিতে চিনি মেশালে যদি সরাসরি নীচে চলে যায় তাহলে তা বিশুদ্ধ চিনি, আর যদি এর মধ্যে ভেজাল থাকে তাহলে এটি পানির উপরে ভাসতে থাকবে।


১০। গোলমরিচ

পেঁপের বীজ মেশানো হয় গোলমরিচে। এর ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে যকৃতের সমস্যা এবং পাকস্থলীর সমস্যা হয়। কয়েকটি গোল মরিচ যদি অ্যালকোহলের মধ্যে দেয়া হয় তাহলে বিশুদ্ধ গোল মরিচ ভাসতে থাকবে এবং ভেজালযুক্ত থাকলে তা নীচে চলে যাবে।


১১। চা

রঙিন ও প্রক্রিয়াজাত চায়ের পাতা মেশানো থাকলে তা ভেজাল চা। এর ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে যকৃতের সমস্যা হওয়া। একটি নষ্ট ব্লটিং পেপারের উপরে কিছু চায়ের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন। যদি ব্লটিং পেপারের রঙ হলুদ, কমলা বা লাল হয়ে যায় তাহলে বোঝা যায় যে, এর মধ্যে কৃত্রিম রঙ মেশানো আছে।

 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত